বিশ্বজুড়ে ১১২ কোটি ওয়েবসাইট, সক্রিয় মাত্র ১৭ শতাংশ
সমাজকাল
প্রকাশ: ১৪:৪৯, ২ জুলাই ২০২৫

বিশ্বজুড়ে ১১২ কোটি ওয়েবসাইট, সক্রিয় মাত্র ১৭ শতাংশ, প্রতিবছর তৈরি হচ্ছে প্রায় ৯ কোটি নতুন ওয়েবসাইট, আর নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছে লাখ লাখ। বিস্তারিত জেনে নিন ওয়েব জগতের এই বাস্তবতা।
সমাজকাল ডেস্ক
বিশ্বজুড়ে মোট ওয়েবসাইটের সংখ্যা এখন ১১২ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। তবে এর মধ্যে মাত্র ১৭ শতাংশ ওয়েবসাইট নিয়মিত হালনাগাদ বা ব্যবহৃত হচ্ছে। অর্থাৎ প্রায় ৯৫ কোটির বেশি ওয়েবসাইট এখন নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে।
সম্প্রতি অনলাইন ডেটা বিশ্লেষণ প্রতিষ্ঠান ডিমান্ডসেইজ এক প্রতিবেদনে জানায়, প্রতিবছর প্রায় ৯ কোটির মতো নতুন ওয়েবসাইট যুক্ত হচ্ছে ইন্টারনেটে। তবে একইসঙ্গে অসংখ্য ওয়েবসাইট বন্ধও হয়ে যাচ্ছে কিংবা নিষিদ্ধ হচ্ছে, ফলে মোট সংখ্যাটি স্থির থাকে না, বরং ক্রমাগত পরিবর্তনশীল।
ডিমান্ডসেইজের তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, সক্রিয় ওয়েবসাইটের সংখ্যা মাত্র ১৯ কোটি।
কোথা থেকে আসে ওয়েবসাইটে ভিজিটর?
একটি ওয়েবসাইটে ভিজিটরের আগমন ঘটে বিভিন্ন উৎস থেকে—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিজ্ঞাপন, কিংবা অন্য ওয়েবসাইটের লিংক থেকে। তবে সবচেয়ে বড় উৎস হলো গুগল সার্চ।
প্রতিদিন গুগল ডটকমে ভিজিট হয় প্রায় ১৩ হাজার কোটি বার। এর পরেই রয়েছে ইউটিউব ও ফেসবুক—এই তিনটি সাইটই বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হিসেবে শীর্ষে অবস্থান করছে।
মোবাইল-ফ্রেন্ডলি না হলে পিছিয়ে পড়ছে ওয়েবসাইট
বর্তমান সময়ের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বেশিরভাগই মোবাইল ফোন থেকেই ওয়েব ব্রাউজ করেন। অথচ এখনো বিশ্বজুড়ে প্রায় ২০ শতাংশ ওয়েবসাইট মোবাইল-সাপোর্টেড নয়।
ডিমান্ডসেইজ জানায়, ওয়েবসাইট মোবাইল-ফ্রেন্ডলি না হলে ব্যবহারকারীরা অনেক সময় পেজ লোড না হওয়া কিংবা ডিজাইন সমস্যা দেখে সাইট ত্যাগ করে ফেলেন। ফলে ট্রাফিক ও গুগল র্যাঙ্কিং—দুটোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ওয়েবের শুরুর ইতিহাস
ওয়েবসাইটের পথচলা শুরু হয় ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW) উদ্ভাবনের মাধ্যমে। ১৯৯০ সালের শেষ দিকে ইউরোপের পারমাণবিক গবেষণা সংস্থা সার্ন-এর বিজ্ঞানী টিম বার্নার্স-লি প্রথম www প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন।
তিনি ১৯৮৯ সালে ‘ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট’ শিরোনামে একটি প্রস্তাব জমা দেন, যেখানে তিনি এমন একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ধারণা দেন, যেখানে তথ্য সংরক্ষণ, লিংক সংযোগ ও ভাগাভাগি করা যাবে। এ ধারণাই রূপ নেয় হাইপারটেক্সট ও পরবর্তী সময়ে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবে।
বিশ্বের প্রথম ওয়েবসাইটটি ছিল info.cern.ch, যা তৈরি হয়েছিল বিজ্ঞানীদের তথ্য বিনিময়ের জন্য। ১৯৯৩ সালে এটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়েবসাইট আর ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের সম্পর্ক অনেকটা বই আর গ্রন্থাগারের মতো। ওয়েব হলো অবকাঠামো, আর ওয়েবসাইটগুলো হলো তার ভেতরের বই।
আজকের দিনে এই ওয়েবই হয়ে উঠেছে ইন্টারনেটের সমার্থক—তথ্য, ব্যবসা, বিনোদন এবং যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম।
এই প্রতিবেদনটি এসইও উপযোগীভাবে সাজানো হয়েছে যাতে "ওয়েবসাইট সংখ্যা", "সক্রিয় ওয়েবসাইট", "ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব ইতিহাস", "গুগল ট্রাফিক", "মোবাইল ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট" প্রভৃতি কীওয়ার্ড ভালোভাবে কাভার হয়।