কনসার্টে ভাইরাল জড়িয়ে ধরা : যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি কোম্পানির সিইও সাময়িক বরখাস্ত
সমাজকাল
প্রকাশ: ১২:৫৪, ১৯ জুলাই ২০২৫

কনসার্টে ভাইরাল জড়িয়ে ধরা : যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি কোম্পানির সিইও সাময়িক বরখাস্ত
সমাজকাল ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এস্ট্রোনোমার এর সিইও অ্যান্ডি বাইরনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে, এক ভাইরাল ভিডিওর জেরে যেখানে কোল্ডপ্লে কনসার্টে এক দম্পতির ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত ধরা পড়ে বিশাল স্ক্রিনে।
বস্টনের একটি কনসার্টে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, এক নারী ও পুরুষ একে অপরকে জড়িয়ে ধরে গান উপভোগ করছেন। কিন্তু ক্যামেরা যখন তাদের মুখ বিশাল স্ক্রিনে দেখায়, তখনই তারা হঠাৎ মুখ লুকিয়ে ফেলেন।
এই দৃশ্য দেখেই কোল্ডপ্লের -প্রধান গায়ক ক্রিস মার্টিন মজার ছলে মন্তব্য করেন, “তারা হয়ত পরকীয়ায় জড়িত, অথবা খুবই লাজুক।” তার এই মন্তব্য মুহূর্তেই ব্যাপক আলোচনা ও গুজব সৃষ্টি করে—যে দু’জন সম্ভবত একই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তা এবং তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে।
ভিডিওটি প্রথমে TikTok-এ পোস্ট করা হলে তা দ্রুতই কয়েক মিলিয়ন ভিউ পায় এবং পরবর্তীতে অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে, মিম ও টেলিভিশন শোতেও ঠাঁই পায়।
শুক্রবার রাতে এস্ট্রনোমার এক বিবৃতিতে জানায়, তাদের সিইও অ্যান্ডি বাইরনকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্তাধীন।
বিবৃতিতে বলা হয়:
“Astronomer শুরু থেকেই নৈতিকতা ও দায়িত্বশীল আচরণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের নেতৃস্থানীয় কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আমরা সর্বোচ্চ মান বজায় রাখার প্রত্যাশা করি। তাই পরিচালনা পর্ষদ একটি আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে।”
এই মুহূর্তে কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান পণ্য কর্মকর্তা পিট ডি জয়কে অন্তর্বর্তীকালীন সিইও হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
যদিও এখনো সুনির্দিষ্টভাবে ওই ভিডিওতে থাকা ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি, বিভিন্ন প্রতিবেদন এবং সামাজিক মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, পুরুষটি হচ্ছেন অ্যান্ডি বাইরন এবং নারীটি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা ক্রিস্টিন ক্যাবট, যিনি ২০২৪ সালের নভেম্বরে কোম্পানিতে যোগ দেন।
Astronomer-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অ্যান্ডি বাইরন কোনো ব্যক্তিগত বিবৃতি দেননি এবং যে ভুয়া বিবৃতি অনলাইনে ছড়িয়েছে, তা মিথ্যা। প্রতিষ্ঠানটি আরও দাবি করেছে, ভিডিওতে থাকা অন্য কেউ কোম্পানির কর্মী নন।
এই ঘটনার ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কর্মক্ষেত্রের শালীনতা, অফিস রোমান্স, এবং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্বের নৈতিকতা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।