বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫

| ১২ ভাদ্র ১৪৩২

‘থ্রি ইডিয়টস’-এর অধ্যাপক আর নেই: বিদায় অচ্যুত পোদ্দার

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫:৫৩, ২০ আগস্ট ২০২৫

‘থ্রি ইডিয়টস’-এর অধ্যাপক আর নেই: বিদায় অচ্যুত পোদ্দার

বলিউডের জনপ্রিয় ছবি থ্রি ইডিয়টস-এ মেজাজি অধ্যাপকের চরিত্রে যিনি দর্শকের মনে গভীর ছাপ ফেলেছিলেন, সেই অচ্যুত পোদ্দার আর নেই। গত ১৮ আগস্ট মহারাষ্ট্রের ঠানে শহরের জুপিটার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১৯ আগস্ট ঠানেতেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

অচ্যুত পোদ্দারের জীবন কেবল অভিনয়ে সীমাবদ্ধ ছিল না। তিনি ১৯৩৪ সালের ২২ আগস্ট মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে জন্মগ্রহণ করেন। প্রথমে শিক্ষকতা, পরে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ক্যাপ্টেন পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৭ সালে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন। এরপর দীর্ঘ ২৫ বছর ইন্ডিয়ান অয়েলে উচ্চপদে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯২ সালে অবসরের পর যখন বেশিরভাগ মানুষ কর্মজীবনের সমাপ্তি ঘটান, তখনই পোদ্দার শুরু করেন নতুন এক যাত্রা—চলচ্চিত্রে অভিনয়। মাত্র ৪৪ বছর বয়সে চলচ্চিত্রে প্রবেশ করা তাঁর সাহসিকতার উদাহরণ হয়ে আছে।

চলচ্চিত্র ও অভিনয় জগতে অবদান
প্রায় চার দশকের অভিনয়জীবনে অচ্যুত পোদ্দার ১২৫টিরও বেশি হিন্দি ও মারাঠি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। পাশাপাশি তিনি ৯৫টিরও বেশি টেলিভিশন নাটক ও ধারাবাহিকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে—

  • তেজাব
  • পরিন্দা
  • রঙ্গিলা
  • বাস্তব
  • পারিনীতা
  • লাগে রাহো মুন্নাভাই
  • দাবাং ২

ভেন্টিলেটর
এবং সর্বাধিক জনপ্রিয় থ্রি ইডিয়টস (২০০৯)

“থ্রি ইডিয়টস”-এ তার বিখ্যাত সংলাপ “কেহনা ক্যা চাহতে হো?” আজও দর্শকদের মনে মিম ও স্মৃতির অংশ হয়ে আছে।


অচ্যুত পোদ্দারের প্রয়াণে বলিউডে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।সহ-অভিনেতা বোমান ইরানি তাকে "a true gentleman" আখ্যা দিয়ে স্মরণ করেছেন। অভিনেতা আমির খান তাকে “remarkable actor and truly kind-hearted person” বলে উল্লেখ করেছেন।পরিচালক হানসাল মেহতা বলেছেন, তার সঙ্গে কাজ করা ছিল “একটি সৌভাগ্যের ব্যাপার”। এছাড়াও জ্যাকি শ্রফসহ অসংখ্য শিল্পী ও দর্শক সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করেছেন।
অচ্যুত পোদ্দার ছিলেন এক বহুমুখী মানুষ—শিক্ষক, সেনা কর্মকর্তা, শিল্পপ্রশাসক এবং শেষ পর্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেতা। তার অভিনয়ের সততা, চরিত্রে প্রাণ সঞ্চারের ক্ষমতা এবং জীবনের প্রতিটি ধাপে নতুন দিগন্ত খোঁজার অদম্য সাহস তাঁকে আলাদা মর্যাদা দিয়েছে।

বলিউডের ইতিহাসে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন, আর দর্শকদের হৃদয়ে থাকবে তাঁর অমলিন সংলাপ।

আরও পড়ুন

শীর্ষ সংবাদ: