বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫

| ১২ ভাদ্র ১৪৩২

দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৫

সমাজকাল

প্রকাশ: ১২:১৬, ২৯ জুন ২০২৫

দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৫

 

দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৫। কুমিল্লার মুরাদনগরে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে আরও চারজন গ্রেপ্তার।

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগে প্রধান অভিযুক্তসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী নারীর দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে শনিবার রাতে ও রোববার ভোরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলীকে আজ ভোররাতে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি চারজন—মো. সুমন, রমজান আলী, মো. আরিফ ও মো. অনিক—কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ভুক্তভোগী নারীর ওপর চালানো নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে। সকলের বাড়ি মুরাদনগর উপজেলায়।   মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী নারীর বর্ণনায় জানা যায়, তিনি প্রায় ১৫ দিন আগে সন্তানদের নিয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ফজর আলী (৩৮) তার বাবার বাড়িতে গিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলেন। তিনি অস্বীকৃতি জানালে ফজর আলী জোরপূর্বক দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন।   পাশের বাড়ির এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “রাতে হঠাৎ চিৎকার-চেঁচামেচির শব্দ শুনে আমি ভয় পেয়ে আশপাশের লোকজন ডেকে আনি। পরে গিয়ে দেখি দরজা ভাঙা এবং ওই নারী অসুস্থ অবস্থায় আছেন। কিছু লোক তাকে মারধর এবং ভিডিও করছিল। পরে বোঝা যায়, ওই নারীর ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। তখনই লোকজন ফজর আলীকে ধরে মারধর করে এবং হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখান থেকে সে পালিয়ে যায়।”   শনিবার রাতে ধর্ষণের ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরপর পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে।   মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান জানান, “ভুক্তভোগী নারীর দায়ের করা মামলার পরপরই পুলিশ অভিযানে নামে। তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।”   পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পৃথক ধারায় মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।    

আরও পড়ুন

শীর্ষ সংবাদ: