‘তিনজনকে নিয়ে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিয়েছিলেন’
আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু দাভিদ লুইজ
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬:৩২, ২৪ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১৬:৩৩, ২৪ আগস্ট ২০২৫

লুইজ ও অভিযোগকারী নারী
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের প্রাক্তন তারকা ডিফেন্ডার দাভিদ লুইজকে ঘিরে এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এসেছে। ব্রাজিলীয় সংবাদমাধ্যম লিওদিয়াস এবং ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল জানিয়েছে, লুইজ তার প্রেমিকা এবং আরও এক নারীকে নিয়ে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেছিলেন।
বর্তমানে সাইপ্রাসের পাফোস ক্লাবে খেলা লুইজের ব্যক্তিগত জীবনেই এই আলোড়নের ঝড় বইছে। তিনি ব্রুনা লৌরেইরোর সঙ্গে বাগদান করেছেন এবং তাদের দুটি সন্তান রয়েছে।
অভিযোগকারীর দাবি
অভিযোগকারিণী ৩৮ বছর বয়সী ক্যারল কাভালকান্তে। তিনি জানিয়েছেন—
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলাপ থেকে তাদের সম্পর্ক শুরু।
প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল ফোর্তালেজায়।
লুইজ তাকে এবং এক বান্ধবীকে যৌথ সম্পর্কের প্রস্তাব দেন।
ক্যারল দাবি করেছেন, তিনি প্রস্তাবে সাড়া দেননি এবং সময়ের সঙ্গে লুইজের আচরণ কিছুটা “আগ্রাসী” হয়ে ওঠে। তিনি নিজেকে অনিরাপদ বোধ করেছেন। এমনকি মেসেজে লুইজ তাকে বলেছিলেন, যদি কেউ সম্পর্ক প্রকাশ করে তবে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিতে।
গতকাল শনিবার লুইজের ম্যানেজমেন্ট সংস্থা বিবৃতি দিয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সেখানে বলা হয়—ক্যারলের সঙ্গে শুধুমাত্র অল্প কিছু মেসেজ বিনিময় হয়েছে।তাদের মধ্যে কখনো মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়নি।হোটেলের রেকর্ডেও লুইজের থাকার কোনো প্রমাণ নেই।লুইজ দাবি করেছেন, তিনি সত্যের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সময়ই সব স্পষ্ট করবে।
অভিযোগের পরদিনই লুইজের দীর্ঘদিনের সঙ্গিনী ব্রুনা ইনস্টাগ্রামে একটি বার্তা পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন—“আশা করি ভালো সময় তোমাকে খুঁজে পাবে, যেখানেই থাকো, এমনকি সাধারণ দিনগুলোতেও। কঠিন দিনের পর শান্তির উৎস হয়ে আসুক। ভালো সময়ই হোক তোমার পথ, যদিও তুমি তা খুঁজছো না।”
এই পোস্টকে অনেকেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য হিসেবে দেখছেন।
ফুটবল ক্যারিয়ার
২০১১: বেনফিকা থেকে চেলসিতে যোগ দিয়ে প্রথমবার প্রিমিয়ার লিগে পা রাখেন।
২০১২: চেলসির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
২০১৪–২০১৬: পিএসজি-তে খেলার পর ফের চেলসিতে ফেরেন।
২০১৯: আর্সেনালে যোগ দেন এবং প্রথম মৌসুমেই এফএ কাপ জেতেন।
একদিকে মাঠে সাফল্যের রঙিন ইতিহাস, অন্যদিকে ব্যক্তিগত জীবনে বিতর্কের ঝড়—দাভিদ লুইজ আবারও আলোচনার কেন্দ্রে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে এটি তার ক্যারিয়ার ও পারিবারিক জীবনে বড় ধাক্কা হতে পারে। তবে আপাতত তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে নিজের নির্দোষিতা প্রমাণের অপেক্ষায় আছেন।