সুপ্রিম কোর্টে আবেদন
কারাগারে ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ চান মুখ্যমন্ত্রী আফ্রিদি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭:৩৫, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া (কেপি) প্রদেশের নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী সোহেল আফ্রিদি কারাগারে আটক পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
আদালতের প্রধান বিচারপতি ইয়াহিয়া আফ্রিদিকে লেখা এক চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী আফ্রিদি উল্লেখ করেছেন, প্রাদেশিক মন্ত্রিসভা গঠনসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে ইমরান খানের নির্দেশনা নেওয়া তার সাংবিধানিক ও নৈতিক দায়িত্ব।
তিনি জানান, ইতিমধ্যে ফেডারেল স্বরাষ্ট্র সচিব ও পাঞ্জাব হোম সেক্রেটারির কাছে সাক্ষাৎ আয়োজনের অনুরোধ পাঠানো হলেও তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। আফ্রিদি বলেন, “আমি ইমরান আহমেদ খান নিয়াজির সঙ্গে বৈঠক করতে চাই আইন-শৃঙ্খলা, অর্থনৈতিক সংকট, ও আন্তঃপ্রাদেশিক সম্পর্কসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরামর্শ নিতে।”
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, “এই সাক্ষাৎ অত্যন্ত জরুরি। পাঞ্জাব প্রদেশ ইতোমধ্যেই গমের আন্তঃপ্রাদেশিক বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে, যা কেপির অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।”
আদালতে দাখিল করা আবেদনপত্রে আফ্রিদি বলেন, “দলের প্যাট্রন ইন চিফ হিসেবে ইমরান খানের পরামর্শ নেওয়া সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। তার সঙ্গে যোগাযোগ না করতে পারলে প্রাদেশিক প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়বে।”
সোহেল আফ্রিদি সম্প্রতি আলি আমিন গান্ডাপুরের স্থলাভিষিক্ত হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এর আগে তিনি উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। বরার তহসিলের তরুণ এই রাজনীতিক ছাত্রজীবন থেকেই ইমরান খানের দলের সঙ্গে যুক্ত।
কেপি প্রাদেশিক পরিষদে প্রথম ভাষণে আফ্রিদি নিজেকে “সংঘাতমুখী রাজনীতির চ্যাম্পিয়ন” হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি ইঙ্গিত দেন, ইমরান খানের মুক্তির আন্দোলনকে নতুন উদ্যমে সামনে নিয়ে যাবেন। আফ্রিদি আরও সতর্ক করেন, “ইমরান খানকে পরিবার বা দলের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া অন্য কোথাও স্থানান্তর করা হলে আমরা দেশব্যাপী অচলাবস্থা সৃষ্টি করব।”
সূত্র: জিউ নিউজ