ভারতের মাটিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয় বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০:১৭, ২০ আগস্ট ২০২৫

ভারতে অবস্থানরত কোনো বাংলাদেশির মাধ্যমে দেশবিরোধী কাযক্রম বন্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং আওয়ামী লীগের সেখানকার কাযালয়গুলো তাৎক্ষনিকভাবে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বুধবার (২০ আগস্ট) মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমনটা জানানো হয়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ভারতের রাজধানী দিল্লি ও কলকাতায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের কার্যালয় স্থাপনের বিষয়টিকে “গুরুতর উদ্বেগজনক” আখ্যা দিয়েছে। একইসঙ্গে ভারত সরকারকে আহ্বান জানানো হয়েছে, যেন কোনো বাংলাদেশী নাগরিক ভারতের মাটি ব্যবহার করে দেশবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত হতে না পারে।
পলাতক নেতাদের তৎপরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের বেশ কিছু শীর্ষ নেতা মানবতাবিরোধী অপরাধসহ গুরুতর মামলায় অভিযুক্ত হয়ে বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। তারা সেখান থেকে রাজনৈতিক কার্যালয় খুলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা তৎপরতা চালাচ্ছেন। এ অবস্থায় বাংলাদেশ সরকার মনে করছে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রের প্রতি প্রকাশ্য অবমাননা।
দিল্লি প্রেস ক্লাবের ঘটনার উল্লেখ করে বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ২১ জুলাই দিল্লি প্রেস ক্লাবে একটি বেনামি এনজিও’র ব্যানারে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা এক সভার আয়োজনের চেষ্টা করেন। সেখানে সাংবাদিকদের মধ্যে বুকলেটও বিতরণ করা হয়। ভারতীয় গণমাধ্যমেও এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দুই দেশের সম্পর্কের ওপর বিরূপ প্রভাব
বাংলাদেশ সরকার বলেছে, ভারতের মাটিতে নিষিদ্ধ দলের রাজনৈতিক কার্যালয় খোলা কিংবা দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা দুই দেশের পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা সম্পর্ককে ক্ষুণ্ণ করতে পারে। এ ধরনের পদক্ষেপ বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিবর্তনকেও প্রভাবিত করতে পারে এবং জনগণের মনে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
বিবৃতির শেষাংশে বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারকে আহ্বান জানায়— কোনো বাংলাদেশী নাগরিককে ভারতের মাটি ব্যবহার করে দেশবিরোধী কার্যকলাপ চালাতে দেওয়া যাবে না। ভারত যেন এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা না করে। ভারতের ভূখণ্ডে আওয়ামী লীগের কার্যালয়গুলো তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।