সেনাপ্রধানের বক্তব্যে সম্প্রীতির বার্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭:৩০, ১৬ আগস্ট ২০২৫

আজ শুভ জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা উদ্বোধন উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে উপস্থিত হয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নয়, বরং মানবতার সর্বজনীন মূল্যবোধ। সেই আদর্শ যেন সমাজের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে—এটাই তার প্রত্যাশা।
ঐক্য ও সহাবস্থানের বার্তা
সেনাপ্রধান বলেন, “জন্মাষ্টমীতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের যে আদর্শ, সেই আদর্শ এইখান থেকে সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ুক। এই আদর্শের ভিত্তিতেই আমরা সুন্দরভাবে এই দেশে একসাথে বাস করব।”
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, শত শত বছর ধরে বাংলার মানুষ ভিন্ন ধর্ম ও জাতিসত্ত্বা নিয়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান গড়ে তুলেছে। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, পাহাড়ি ও বাঙালি—সবাই মিলে সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলেছে। এই ঐতিহ্য রক্ষা ও টিকিয়ে রাখার অঙ্গীকারের কথাই তিনি আজকের দিনে পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৈষম্যহীন বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, “এই দেশ সবার। এখানে আমরা শান্তিতে, সুন্দরভাবে সবাই বসবাস করব। কোনো ভেদাভেদ থাকবে না।”
তার বক্তব্যে প্রতিফলিত হয় বৈচিত্র্যের মধ্যেও ঐক্য রক্ষার গুরুত্ব। বাংলাদেশকে সবার জন্য সমান সুযোগ ও মর্যাদার দেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি তিনি আবারও তুলে ধরেন।
সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর প্রধানও। সেনাপ্রধান জানান, দেশের সর্বত্র সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাশে আছে এবং সম্প্রীতির বাংলাদেশ গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। তিনি বলেন, “আমরা সবাই মিলে আপনাদের পাশে থাকব। এক হয়ে আপনাদের সঙ্গে কাজ করে যাব।”
জন্মাষ্টমীর তাৎপর্য
শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি শুধু ধর্মীয় নয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবেও গুরুত্বপূর্ণ। অত্যাচারী শক্তির বিরুদ্ধে ন্যায় প্রতিষ্ঠা, দুর্বলের অধিকার রক্ষা এবং মানবিক মূল্যবোধের লালনই এই দিনটির মর্ম। সেনাপ্রধানের বক্তব্যে প্রতিফলিত হয় সেই মানবিক বার্তা—যেখানে ধর্ম নির্বিশেষে সবাই একসাথে শান্তি, সম্প্রীতি ও ভালোবাসায় বাস করবে।