ঐতিহাসিক চুক্তি, কূটনৈতিক বিজয়
সমাজকাল
প্রকাশ: ১৭:২৯, ১ আগস্ট ২০২৫
ঐতিহাসিক চুক্তি, কূটনৈতিক বিজয় : যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় বাংলাদেশের সাফল্য
নিজস্ব প্রতিবেদক
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সদ্য স্বাক্ষরিত বাণিজ্য চুক্তিকে বাংলাদেশের জন্য একটি “ঐতিহাসিক কূটনৈতিক বিজয়” হিসেবে অভিহিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই প্রতিক্রিয়া জানান।
প্রফেসর ইউনূস বলেন, “আমরা গর্বের সঙ্গে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচক দলকে অভিনন্দন জানাই। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তারা যে ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তি অর্জন করেছেন, তা দেশের কূটনৈতিক ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য সাফল্য। শুল্ক হার প্রত্যাশিতের তুলনায় ১৭ পয়েন্ট কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা—এটি এক অসাধারণ কৌশলগত সাফল্য। এতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা এবং উন্নয়নের অটুট প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হয়েছে।”
চুক্তির বিষয়ে প্রফেসর ইউনূস আরও বলেন, “ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই আলোচনায় আমাদের টিম শুল্ক, অশুল্ক বাধা, এমনকি জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত সংবেদনশীল বিষয়ের মধ্যেও দক্ষতা ও বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে। তারা যে চুক্তিটি অর্জন করেছে, তা একদিকে আমাদের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা বজায় রেখেছে, অন্যদিকে বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে প্রবেশের আরও বড় সুযোগ তৈরি করেছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—এটি আমাদের মৌলিক জাতীয় স্বার্থকে সুরক্ষা দিয়েছে।”
তিনি বলেন, “এই অর্জন শুধু একটি কাগুজে সই নয়, এটি বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক শক্তির প্রমাণ। এটি আমাদের জন্য আরও বৃহৎ সুযোগের দ্বার উন্মোচন করেছে—দ্রুততর প্রবৃদ্ধি, টেকসই উন্নয়ন এবং আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথে। এই সাফল্য জাতির অগ্রগতির প্রতীক এবং সাহসী অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির উদাহরণ।”
চুক্তির বিস্তারিত এখনও প্রকাশিত হয়নি, তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানাচ্ছে, এটি বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা কমাতে দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের দিকেই ইঙ্গিত করছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই চুক্তি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত, চামড়া শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।
এটি কেবল একটি অর্থনৈতিক অর্জন নয়, বরং বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করার এক বড় পদক্ষেপ হিসেবেই বিবেচনা করছেন বিশেষজ্ঞরা।