বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫

| ১২ ভাদ্র ১৪৩২

সময়সীমা শেষে ফের রাস্তায় শিক্ষার্থীরা, শাহবাগ ঘেরাও

সমাজকাল

প্রকাশ: ১৪:৫০, ১৮ মে ২০২৫

সময়সীমা শেষে ফের রাস্তায় শিক্ষার্থীরা, শাহবাগ ঘেরাও

সমাজকাল প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ‘প্রকৃত’ আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে ফের শাহবাগ থানা ঘেরাও করেছেন শিক্ষার্থীরা। পূর্বঘোষিত ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটামের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে মিছিল নিয়ে থানা ঘেরাও কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। এর আগে গত শুক্রবার শাহরিয়ার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে একই দাবিতে শাহবাগ থানা ঘেরাও করে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। সময়সীমা শেষে দাবির বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় তাঁরা আবার মাঠে নামেন। আজকের সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান এবং প্রক্টর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ ইতোমধ্যে কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তবে শাহরিয়ার হত্যার বিচার দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে নিশ্চিত করতে হবে।” সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শাহবাগ থানার সামনে অবস্থান নেন। এ সময় তারা স্লোগান দিতে থাকেন— ? “আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই” ? “আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে?” শিক্ষার্থীদের দাবি, এখনো ‘প্রকৃত’ খুনিরা ধরা পড়েনি। গ্রেপ্তার হওয়া কয়েকজনকে রিমান্ডে নেওয়া হলেও তাতে সন্তুষ্ট নয় তারা। দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকৃত জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তারা। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য। তিনি স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ? সম্পর্কিত খবর: ? শাহরিয়ার হত্যায় গ্রেপ্তার তিনজন ৬ দিনের রিমান্ডে ? ১৬ মে: শাহবাগ থানা ঘেরাও করে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম শিক্ষার্থীদের ? ১৪ মে (মঙ্গলবার, রাত): ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে ছুরিকাঘাতে নিহত হন। দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হন সাম্য। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ? ১৫ মে (বুধবার): হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সহপাঠী ও সহকর্মীরা শাহবাগ, টিএসসি ও রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ করেন। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ তোলেন, এটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড এবং প্রকৃত খুনিরা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। ? ১৬ মে (বৃহস্পতিবার): শাহবাগ থানা ঘেরাও করেন শিক্ষার্থীরা, ‘প্রকৃত’ আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে। ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে তাঁরা কর্মসূচি স্থগিত করেন। শিক্ষার্থীরা স্লোগান তোলেন— ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে?’, ‘প্রশাসন জবাব দাও।’ শাহরিয়ার হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের ৬ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ? ১৭ মে (শুক্রবার): শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকে। বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন, প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলো একাত্মতা প্রকাশ করে। শাহরিয়ারের পরিবার এবং সহপাঠীরা 'নিরপেক্ষ ও নির্ভেজাল তদন্তের' দাবি তোলেন। ? ১৮ মে (রবিবার): ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম শেষ হলেও ‘প্রকৃত’ আসামিদের গ্রেপ্তার না হওয়ায় আবার শাহবাগ থানা ঘেরাও করেন শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে মিছিল করে থানার সামনে গিয়ে অবস্থান নেন। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান এবং প্রক্টর। তাঁরা প্রশাসনিক পদক্ষেপের কথা জানান এবং একাত্মতা প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন

শীর্ষ সংবাদ: