বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫

| ১২ ভাদ্র ১৪৩২

কাকরাইলে এখনও জগন্নাথের শিক্ষার্থীদের অবস্থান, সমাবেশে যোগ দিতে আসছে একের পর এক বাস

সমাজকাল

প্রকাশ: ১৪:১৬, ১৬ মে ২০২৫

কাকরাইলে এখনও জগন্নাথের শিক্ষার্থীদের অবস্থান, সমাবেশে যোগ দিতে আসছে একের পর এক বাস

সমাজকাল প্রতিবেদক : তিন দফা দাবিতে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে দ্বিতীয় দিনের মতোও অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’ সংলগ্ন কাকরাইল মসজিদ মোড়ে বসে থেকে তাঁরা স্লোগান দিচ্ছেন এবং কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। একই সঙ্গে, পূর্বঘোষিত গণ–অনশন ও সমাবেশ আয়োজনের জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একাধিক বাসে করে ধারাবাহিকভাবে কাকরাইলে এসে পৌঁছাচ্ছেন। ? সকাল ১০টায় সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও ক্লান্ত শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে তা সাড়ে ১১টায় শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দীন। ? মৎস্য ভবন থেকে কাকরাইল পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। ✊ চলমান দাবিসমূহ: ১. ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসনবৃত্তি চালু করা — ২০২৫–২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর। ২. প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদন — বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট কাটছাঁট না করে বাস্তবায়ন। ৩. দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণ অনুমোদন — পরবর্তী একনেক সভায় প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা। বুধবার দুপুরে যমুনার অভিমুখে লংমার্চ করতে গেলে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টায় পুলিশের লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে ছত্রভঙ্গ করা হয় আন্দোলনকারীদের। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী আহত হন। এরপর থেকে টানা অবস্থান কর্মসূচি চলছে। ? অবস্থানকালে শিক্ষার্থীদের স্লোগান: "এক দুই তিন চার, হল আমার অধিকার" "সিন্ডিকেটের কালো হাত, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও" "মানি নারে মানি না, বৈষম্য মানি না" ? গত রাতেই শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দীন ঘোষণা দেন, জুমার নামাজের পর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মিলে গণ–অনশনে বসবেন। তিনি বলেন, “দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা এই স্থান ছাড়ব না, প্রয়োজনে প্রাণ দিয়েই থাকব।” সরকারের পক্ষ থেকে কোনো "গ্রিন সিগন্যাল" না আসায় আন্দোলন আরও তীব্র হচ্ছে। ? ১৪ মে ২০২৫ (বুধবার): লংমার্চ ও পুলিশের বাধা ? দুপুর ১২:৩০ নাগাদ: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র উদ্দেশে লংমার্চ শুরু করেন। নেতৃত্বে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নেতারা। ? কাকরাইল মোড়: লংমার্চের অংশ হিসেবে যখন আন্দোলনকারীরা কাকরাইল পৌঁছান, তখন পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাঁদের আটকে দেয়। ? সংঘর্ষ শুরু: শিক্ষার্থীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে। ? এতে অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক আহত হন। ? দুপুর ২টা থেকে: আন্দোলনকারীরা কাকরাইল মোড়ে বসে টানা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। রাতেও তাঁরা সেখানে অবস্থান অব্যাহত রাখেন। ? ১৫ মে ২০২৫ (বৃহস্পতিবার): অবস্থান ও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা ? সকাল থেকে: স্লোগান ও প্রতিবাদ অব্যাহত রাখেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের পাশে থাকতে দেখা যায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদেরও। ? রাত ১১:৫০ (প্রায় মধ্যরাত): বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন এক বিবৃতিতে ঘোষণা দেন—
  • কাকরাইলে অবস্থান অব্যাহত থাকবে
  • পরদিন (১৬ মে) সকাল ১০টায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে
  • জুমার নামাজের পর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গণ–অনশনে বসবেন
? তিনি আরও বলেন, “সরকার আমাদের কোনো গ্রিন সিগন্যাল দেয়নি। আমরা এই স্থান ত্যাগ করব না, যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়। প্রয়োজন হলে আমরা মৃত্যু বরণ করব।” ✅ তিন দফা মূল দাবি ১. ২০২৫–২৬ অর্থবছর থেকে ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসনবৃত্তি কার্যকর। ২. পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদন—কোনো কাটছাঁট ছাড়া। ৩. দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজ একনেক সভায় অনুমোদন এবং অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়ন।

আরও পড়ুন

শীর্ষ সংবাদ: