ফেনীতে জামায়াতের কর্মসূচিতে সংঘর্ষে আহত ২০
ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪:৩৫, ২১ অক্টোবর ২০২৫

ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নে মহিলা জামায়াতের একটি কর্মসূচিকে ঘিরে সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় জামায়াতে ইসলামী অভিযোগ করেছে—বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাদের কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে। এতে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
অপরদিকে, যুবদলের পক্ষ থেকে পাল্টা অভিযোগ এসেছে—জামায়াতের কর্মীরা তাদের নেতাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষ মিলিয়ে ২০ জন আহত হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটে সোমবার রাতে ফাজিলপুর ইউনিয়নের আল-আমিন মার্কেট সংলগ্ন এলাকায়, মহিলা জামায়াতের একটি ধর্মীয় তালিম কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই এলাকায় মহিলা জামায়াতের একটি ঘরে আয়োজন চলছিল। এ সময় যুবদলের সদস্য কামরুলসহ কয়েকজন স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত হয়ে বক্তব্যের বিষয়ে আপত্তি জানান। শুরু হয় বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি, যা পরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে রূপ নেয়।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন—ফাজিলপুর ইউনিয়ন শিবির সভাপতি আরমান হোসেন, ১ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি নাজমুল হাসান, জামায়াত সেক্রেটারি সোহরাব হাসান, ৯ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি জিয়াউর রহমান, শিবিরের প্রকাশনা সম্পাদক সারাফাতুল্লাহ, ইউনিয়ন সেক্রেটারি মেহেদী হাসানসহ আরও অনেকে। অন্যদিকে যুবদল জানিয়েছে, তাদের আনোয়ার আজিম, হাসান, দুলাল, কিরণ ও কামরুল আহত হয়েছেন।
জেলা জামায়াতের আমির মুফতি আবদুল হান্নান অভিযোগ করেন—‘মহিলা জামায়াতের কর্মসূচি বন্ধের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় বিএনপি ও যুবদলের কর্মীরা অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে। এর আগেও আমাদের সক্রিয় নেতাদের ওপর হামলা হয়েছে।’
অন্যদিকে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন দাবি করেন—‘জামায়াতের মহিলারা ধর্মের নামে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছিলেন। আমাদের এক নেতা তাদের এসব বন্ধ করতে বললে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা হামলা চালায়।’
ফেনী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুজ্জামান জানান—‘দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটির বিষয়টি শুনেছি। তারা স্থানীয়ভাবে বসে সমাধান করেছেন বলে জানা গেছে। তবুও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করছে।’