প্রধান উপদেষ্টাকে বললো বিএনপি
অন্তর্বর্তী সরকার তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকা নিক, বাদ দিক ‘দলীয়’ উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯:৪৯, ২১ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২১:২২, ২১ অক্টোবর ২০২৫

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভুমিকা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। আর নির্বাচনের সময় সরকারকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ রাখতে সরকারের ভেতর কোন দলীয় লোক থাকলে, তাদের এখনই অপসারনের দাবিও জানিয়েছে দলটি।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে এই দাবি জানান বিএনপি প্রতিনিধি দল। পরে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অবশ্য সরকারের ভেতর থাকা দলীয় লোকজনকে সরানোর বিষয়ে নির্দিষ্ট কারো বা দলের নাম বলেননি বলেও জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল সন্ধ্যা ৬টায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যুমনায় প্রবেশ করেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহ উদ্দিন আহমদ ছিলেন এই প্রতিনিধি দলে। সন্ধ্যা ৭টা ১১ মিনিটে তারা যমুনা থেকে বেরিয়ে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
এসময় বিএনপির মহাসচিব বলেন, রাজনৈতিক বিষয়ে কতগুলো উদ্বেগ নিয়ে আলাপ করার জন্য তারা এসেছিলেন। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই নির্বাচনকে অর্থবহ, নিরপেক্ষ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করার জন্য এই মুহূর্ত থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় যেতে হবে। এ জন্য প্রথমেই প্রয়োজন প্রশাসন যে পুরোপুরি নিরপেক্ষ, সেই ধারণা জনগণের মধ্যে তৈরি করা। প্রধান উপদেষ্টাকে সেই দাবি জানিয়েছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রশাসনে এখনও এমন কর্মকর্তা আছেন, যারা পুরোনো সরকারের স্বার্থ পূরণ করছেন। তাদের অপসারণের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি। সচিবালয়ে ফ্যাসিস্টের চিহ্নিত দোসরদের সরিয়ে সেখানে নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের দেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে। এমনকি জেলা প্রশাসনেও একই ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছি।
মির্জা ফখরুল জানান, পুলিশের নতুন নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে পুলিশকে একদম নিরপেক্ষ অবস্থায় নেওয়ার জন্য তারা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছেন। যেহেতু প্রধান উপদেষ্টা সবকিছুর দায়িত্বে রয়েছেন, তাই বিচার বিভাগেও নিরপেক্ষ বিচারকদের দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।