বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫

| ১২ ভাদ্র ১৪৩২

এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ বললেন

নির্বাচন কমিশন কিছু দলের পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক 

প্রকাশ: ১৬:৫৭, ২৪ আগস্ট ২০২৫

নির্বাচন কমিশন কিছু দলের পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ অভিযোগ করেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়ে কিছু রাজনৈতিক দলের পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে। আজ রবিবার নির্বাচন কমিশনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সংসদীয় আসনের খসড়া সীমানা নিয়ে দাবি-আপত্তি শুনানিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ ও ৩ আসনের পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে হট্টগোল হয়। সেখানে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ আহত হন বলে অভিযোগ করেন। 

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের বস্তুনিষ্ঠ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি। বর্তমান কমিশনকে ‘পিক অ্যান্ড চুজ’ ভিত্তিতে গঠন করা হয়েছে। এখানকার কমিশনাররাও একইভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। 

তিনি আরও বলেন, আজকের ঘটনাই প্রমাণ করে দিয়েছে আগামী জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন, পুলিশ এবং বিএনপি কী ভূমিকা রাখতে পারে। আপনারা দেখেছেন, বিএনপির এক নেত্রী প্রকাশ্যে বলেছেন চাইলে গুন্ডা আনা যেত। অর্থাৎ তারা দীর্ঘদিন ধরে গুন্ডাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে। নির্বাচন কমিশনের বাইরে লাঠিসোটা নিয়ে মহড়া চলছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনের অফিসের এই চিত্রই সারা দেশের নির্বাচনের একটি নমুনা—কিভাবে ভোটকেন্দ্র দখল হবে তা আজকের ঘটনাই দেখিয়েছে। 

হাসনাত আব্দুল্লাহ বিএনপি নেতা রুমিন ফারহানার নাম উল্লেখ করে বলেন, রুমিন ফারহানা সব সুবিধাই নিয়েছেন। তিনি হাসিনার কাছে ফ্ল্যাটের আবেদন করেছিলেন, তিনিই এখন আওয়ামী লীগ থেকেও বেশি আওয়ামী লীগপন্থি আচরণ করছেন। অতীত ১৫ বছরে তিনি ভালোই ছিলেন, কারণ তিনি আওয়ামী লীগের সব ধরনের সুবিধা ভোগ করেছেন। 

তিনি নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ আখ্যা দিয়ে বলেন, আজ আমরা দেখেছি পুলিশ নীরব দর্শকের মতো অবস্থান নিয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের কমিশনে প্রবেশে বাধা দেওয়া হলেও বিএনপির নেতাকর্মীরা নির্বিঘ্নে প্রবেশ করেছে। এতে প্রমাণিত হয় নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন একটি পক্ষকে সুবিধা দিচ্ছে।

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন

শীর্ষ সংবাদ: