নাহিদ ইসলামের অভিযোগ : মুজিববাদী সন্ত্রাসীদের টার্গেট ছিল এনসিপি নেতাদের হত্যা
সমাজকাল
প্রকাশ: ১৪:১৮, ১৭ জুলাই ২০২৫

খুলনা প্রতিনিধি
নাহিদ ইসলামের অভিযোগ : মুজিববাদী সন্ত্রাসীদের টার্গেট ছিল এনসিপি নেতাদের হত্যা, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক অভিযোগ করেছেন, তাদের নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে "মুজিববাদী সন্ত্রাসীরা"। খুলনা প্রেসক্লাবে বুধবার রাত পৌনে ১০টায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “গোপালগঞ্জে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। আমাদের গাড়িবহরে গুলিবর্ষণ করা হয়, দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ চালানো হয়। এমনকি সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতেও তারা হামলা চালাতে দ্বিধা করেনি।”
তিনি আরও দাবি করেন, “গোপালগঞ্জের ঘটনায় আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট চরিত্র দেশবাসী ও বিশ্ববাসীর সামনে উন্মোচিত হয়েছে। এরা আর কোনো গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল নয়, বরং একটি জঙ্গি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে রূপ নিয়েছে।”
এনসিপি আহ্বায়ক জানান, গোপালগঞ্জের কর্মসূচি শেষে নেতাকর্মীরা মাদারীপুরে যাওয়ার পথে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন গুরুতর আহত হন এবং ছয়টি গাড়ি ভাঙচুর হয়। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ঘটনাস্থলে প্রাণহানিও ঘটেছে এবং সেই বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “গোপালগঞ্জে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগ ও ফেরারি আসামিদের আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতারা সেখানেই অবস্থান করে আমাদের উপর পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে। তাদের লক্ষ্য ছিল— জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে হত্যার মাধ্যমে গণআন্দোলন দমন করা।”
প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি
তার ভাষায়, “যেখানে হামলার আশঙ্কা ছিল, সেখানে আগাম নিরাপত্তার ব্যবস্থা প্রশাসনেরই দায়িত্ব। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা নিয়েও তদন্ত হওয়া উচিত। গোপালগঞ্জ তো বাংলাদেশের বাইরে নয়— সেখানে কেন রাজনৈতিক কর্মসূচি চালানো যাবে না?”
তিনি জানান, গোপালগঞ্জের ঘটনার জেরে মাদারীপুর ও শরীয়তপুরের কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। তবে পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ফরিদপুরে কর্মসূচি পালন করা হবে। পাশাপাশি হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, উত্তরাঞ্চলের সংগঠক সারজিস আলম এবং দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ প্রমুখ।