উখিয়ায় ১৭ বছর পর জামায়াতের উপজেলা কার্যালয় খুলল
উখিয়া-টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬:১৬, ৮ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ০৪:০২, ৯ নভেম্বর ২০২৫
কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুহাম্মদ শাহজাহানসহ অতিথিরা। ছবি: সমাজকাল
দীর্ঘ ১৭ বছর পর কক্সবাজারের উখিয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে পুনরায় যাত্রা করল উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়। শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে উখিয়া শহরের প্রাণকেন্দ্রে সালাম বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় দোয়া ও মিলাদ-মাহফিলের মধ্য দিয়ে কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান। তিনি ফিতা কেটে কার্যালয় উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, “উখিয়া জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন নানা প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে কাজ করেছে। আজকের এই পুনরায় সূচনা কেবল একটি অফিস উদ্বোধন নয়, এটি একটি নতুন অঙ্গীকারের প্রতীক। ইসলামী আন্দোলনের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রত্যেক সদস্যকে আদর্শিকভাবে দৃঢ় থাকতে হবে।”
প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ও উখিয়া-টেকনাফ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারি। তিনি বলেন, “দীর্ঘ ১৭ বছর পর নিজস্ব কার্যালয় পুনরায় চালু হওয়ায় আজ উখিয়া জামায়াতের ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এখান থেকেই তৃণমূল পর্যায়ে ইসলামী আদর্শভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জাহেদুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক অধ্যক্ষ নুরুল হোসাইন সিদ্দিকী, সাবেক আমির শাহজাহান, উখিয়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবুল ফজল, নায়েবে আমির নুরুল হক, সহকারী সেক্রেটারি আবদুর রহিমসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা ও স্থানীয় আলেম-ওলামা ও বিপুলসংখ্যক কর্মী।
উদ্বোধনী পর্ব শেষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে দেশ, জাতি, উম্মাহ ও ইসলামী আন্দোলনের অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে উখিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর কার্যক্রম দীর্ঘ সময় স্থবির ছিল। সর্বশেষ ২০০৮ সালের দিকে পুরনো কার্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সংগঠনটি অস্থায়ীভাবে বিভিন্ন স্থানে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। অবশেষে ১৭ বছর পর নিজস্ব কার্যালয় পুনরায় উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সংগঠনটি নতুন উদ্যমে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার উদ্যোগ নিয়েছে।
অনুষ্ঠান শেষে নেতারা সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং ভবিষ্যতে সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড ও তৃণমূল পর্যায়ে ইসলামী চেতনা জাগরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
