বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

| ১ কার্তিক ১৪৩২

মানব পাচার রোধে যৌথ অভিযান, উদ্ধার ২১ নারী-শিশু

উখিয়া-টেকনাফ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১:৫২, ২ অক্টোবর ২০২৫

মানব পাচার রোধে যৌথ অভিযান, উদ্ধার ২১ নারী-শিশু

 

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়ার গভীর পাহাড়ি এলাকা থেকে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে আটকে রাখা নারী-শিশুসহ ২১ জনকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ বাহিনী। বুধবার (১ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে করাচিপাড়া ঘাট সংলগ্ন একটি পাহাড়ি আস্তানায় এ অভিযান চালানো হয়। বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনী জানতে পারে, স্থানীয় পাহাড়ি আস্তানায় কয়েকজন নারী, শিশু ও যুবককে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের জন্য আটকে রাখা হয়েছে। দ্রুত অভিযানে গিয়ে জীবিত উদ্ধার করা হয় ২১ জনকে। তবে উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়, ফলে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, পাচারকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। তিনি বলেন, “মানব পাচার রোধে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সর্বদা তৎপর রয়েছে এবং এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও চলবে।”

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টেকনাফের সীমান্তবর্তী পাহাড়ি অঞ্চলকে পাচারকারীরা গোপন আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করছে। এর আগেও একাধিক অভিযানে বহু নারী-শিশু উদ্ধার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৬২ জনকে পাচারের আগেই জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই রোহিঙ্গা নাগরিক।

উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশই রোহিঙ্গা শরণার্থী, বাকিরা বাংলাদেশি। তারা সবাই উন্নত জীবনের আশায় মালয়েশিয়া যাওয়ার স্বপ্নে পাচারকারীদের ফাঁদে পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শরণার্থী শিবির ও সীমান্তবর্তী অঞ্চলে মানব পাচারকারীরা বারবার সক্রিয় হয়ে উঠছে এবং নতুন নতুন কৌশলে মানুষ ফাঁদে ফেলছে।

নিয়মিত অভিযান ও নজরদারি সত্ত্বেও পাচারকারীরা দমন করা যাচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, সীমান্তবর্তী এলাকায় মানব পাচার প্রতিরোধে আরও কঠোর পদক্ষেপ ও প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি চালু করা হবে।
 

আরও পড়ুন