বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫

| ১২ ভাদ্র ১৪৩২

২৪ আগস্ট

ইতিহাসের পাতা থেকে

সমাজকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩:০৩, ২৪ আগস্ট ২০২৫

ইতিহাসের পাতা থেকে

২৪ আগস্ট গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী অনুযায়ী বছরের ২৩৬তম দিন (অধিবর্ষে ২৩৭তম)। বছর শেষ হতে বাকি থাকে আরও ১২৯ দিন। ইতিহাসে এই দিনে সংঘটিত নানা ঘটনা আজও মানবসভ্যতার স্মৃতিতে গাঁথা হয়ে আছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক—

গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী
১৬০৮ – প্রথমবার সরকারিভাবে ইংরেজ প্রতিনিধি ভারতের সুরাতে আসেন। এটি ছিল উপনিবেশবাদের দীর্ঘসূত্রে সূচনা।

১৬৯০ – ইংরেজ ব্যবসায়ী জব চার্নক সুতানুটিতে ইংল্যান্ডের পতাকা উত্তোলন করেন। পরবর্তী সময়ে এটিকে কলকাতার পত্তন দিবস হিসেবে ধরা হয়।

১৮১৪ – ব্রিটিশ সেনারা ওয়াশিংটন ডিসি দখল করে এবং হোয়াইট হাউসসহ বিভিন্ন স্থাপনা জ্বালিয়ে দেয়।

১৮১৫ – নেদারল্যান্ডস আধুনিক সংবিধান গ্রহণ করে, যা দেশটির সাংবিধানিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

১৮২১ – দীর্ঘ সংগ্রামের পর মেক্সিকো স্পেনের উপনিবেশ থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে।

১৮৭৫ – ক্যাপ্টেন ম্যাথিউ ওয়েব প্রথমবারের মতো সাঁতার কেটে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন।

১৯০২ – ফ্রান্সে জোয়ান অব আর্কের ভাস্কর্য উন্মোচন করা হয়।

১৯১৩ – ফ্রান্স ও সোভিয়েত রাশিয়ার মধ্যে আক্রমণ না করার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

১৯১৪ – প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান বাহিনী বেলজিয়ামের নামুর শহর দখল করে।

১৯২৯ – জেরুজালেমে নুদবা প্রাচীর আন্দোলন শুরু হয়, যা পরবর্তী ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের ঐতিহাসিক সূত্রপাতগুলির একটি।

১৯৪৪ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে দীর্ঘ প্রতিরোধের পর প্যারিস জার্মান দখলমুক্ত হয়।

১৯৪৯ – গঠিত হয় ন্যাটো, যা আজও বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী সামরিক জোট।

১৯৬৬ – ভারতীয় সাঁতারু মিহির সেন জিব্রাল্টার প্রণালী সাঁতরে পাড়ি দেন।

১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় পানামা ও উরুগুয়ে।

১৯৭৪ – ফখরুদ্দিন আলি আহমেদ ভারতের পঞ্চম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন।

১৯৮৮ – প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সাহিত্যিক আবু জাফর শামসুদ্দীন মৃত্যুবরণ করেন।

১৯৮৯ – ৪৫ বছরের কমিউনিস্ট শাসন শেষে পোল্যান্ডে তাদেউজ মাজোভিয়েস্কি প্রধানমন্ত্রী হন।

১৯৯১ – তুর্কমেনিস্তান স্বাধীনতা ঘোষণা করে। একই দিনে ইউক্রেনও সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে।

২৪ আগস্টের ঘটনাগুলো বিশ্ব ইতিহাসে ঔপনিবেশিকতার বিস্তার, স্বাধীনতার সংগ্রাম, সামরিক সংঘর্ষ ও মুক্তি, এবং আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার বিকাশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে। বিশেষত মেক্সিকোর স্বাধীনতা, প্যারিস মুক্তি কিংবা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আমাদের মনে করিয়ে দেয় স্বাধীনতার মূল্য ও আত্মত্যাগের কাহিনি। একইসাথে ন্যাটোর গঠন কিংবা পোল্যান্ডের রাজনৈতিক রূপান্তর বিশ্ব রাজনীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।

সমাজকাল পাঠকদের জন্য এদিনের শিক্ষণীয় বিষয় হলো—স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মানবিক মর্যাদা রক্ষার সংগ্রাম ইতিহাস জুড়েই চলমান। প্রতিটি জাতির মুক্তি ও স্বাধিকারের ইতিহাসই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নতুন পথ দেখায়।

আরও পড়ুন

শীর্ষ সংবাদ: