বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫

| ১২ ভাদ্র ১৪৩২

২৭ আগস্ট

জন্মদিনে যাদের মনে রাখি

সমাজকাল ডেস্ক 

প্রকাশ: ১২:৪১, ২৭ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১২:৪৩, ২৭ আগস্ট ২০২৫

জন্মদিনে যাদের মনে রাখি

আজকের দিনে ইতিহাসে জন্মগ্রহণ করেছেন বিশ্বের নানা প্রান্তের জ্ঞানী, দার্শনিক, বিজ্ঞানী, শিল্পী ও ক্রীড়াবিদেরা। তাঁদের অবদান মানবসভ্যতার ইতিহাসে অমলিন হয়ে আছে। সমাজকালের পাঠকদের জন্য আজকের দিনে স্মরণ করি তাঁদেরই—


 আল রাযী (৮৬৫–৯২৫)

প্রখ্যাত পারসিক চিকিৎসক ও দার্শনিক আল রাযী ছিলেন ইসলামী স্বর্ণযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানমনস্ক ব্যক্তি। চিকিৎসাবিদ্যা, দর্শন ও রসায়নে তাঁর গভীর অবদান আজও প্রাসঙ্গিক। তিনি চিকিৎসায় পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষাকে গুরুত্ব দেন, যা আধুনিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির পূর্বসূরী হিসেবে বিবেচিত।

 গেয়র্গ ভিলহেল্ম ফ্রিডরিখ হেগেল (১৭৭০–১৮৩১)

জার্মান ভাববাদী দার্শনিক হেগেল পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাসে এক অনন্য নাম। তাঁর Dialectics ধারণা সমাজবিজ্ঞান, রাজনীতি ও ইতিহাসচর্চায় বিশাল প্রভাব ফেলেছে। মার্কসবাদী দর্শনের উপর তাঁর ভাবধারা গভীর ছাপ রেখেছে।

নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারী (১৮৪৭–১৯৪০)

ভারতে ফুটবল খেলার জনক নামে পরিচিত নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারী ক্রীড়াঙ্গনে এক পথিকৃৎ। তাঁর হাত ধরেই ফুটবল কলকাতার মাঠে জনপ্রিয়তা পায়, যা আজ ভারতীয় উপমহাদেশে কোটি মানুষের আবেগে রূপ নিয়েছে।

থিওডোর ড্রাইজার (১৮৭১–১৯৪৫)

আমেরিকান ঔপন্যাসিক ও সাংবাদিক ড্রাইজারের রচনাগুলো বাস্তবতার নির্ভীক প্রতিফলন। তাঁর উপন্যাস An American Tragedy বিশ্বসাহিত্যে ক্লাসিক মর্যাদা পেয়েছে।

কার্ল বশ (১৮৭৪–১৯৪০)

জার্মান রসায়নবিদ ও প্রকৌশলী কার্ল বশ নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী, যিনি অ্যামোনিয়া সংশ্লেষণের হ্যাবার-বশ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কৃষি ও শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনেন।

স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান (১৯০৮–২০০১)

ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাটসম্যান ব্র্যাডম্যানের ব্যাটিং গড় ৯৯.৯৪—যা ক্রীড়াজগতের এক অনন্য রেকর্ড। তাঁর নাম ক্রিকেট মানেই মহিমা ও অনুপ্রেরণা।

 লিন্ডন বি. জনসন (১৯০৮–১৯৭৩)
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৬তম রাষ্ট্রপতি লিন্ডন বি. জনসন ‘গ্রেট সোসাইটি’ কর্মসূচির মাধ্যমে নাগরিক অধিকার ও সামাজিক সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

 নরম্যান ফস্টার র‌্যামজে (১৯১৫–২০১১)
আমেরিকান পদার্থবিজ্ঞানী র‌্যামজে ১৯৮৯ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। তাঁর উদ্ভাবিত মাইক্রোওয়েভ প্রযুক্তি আধুনিক পরমাণু ঘড়ি ও সুনির্দিষ্ট মাপযন্ত্রে ব্যবহৃত হয়।

 শ্রী চিন্ময় (১৯৩১–২০০৭)

বাংলার মাটিতে জন্ম নেওয়া শ্রী চিন্ময় ছিলেন একাধারে আধ্যাত্মিক গুরু, কবি, শিল্পী ও সঙ্গীতজ্ঞ। শান্তি ও মানবিকতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে তিনি বিশ্বজুড়ে কাজ করেছেন।

 সেজারিয়া এভোরা (১৯৪১–২০১১)
কেপ ভার্দে দ্বীপপুঞ্জের এই কিংবদন্তি গায়িকা বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত ‘Barefoot Diva’ নামে। তাঁর গাওয়া morna সংগীত বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলেছিল।

 দ্য গ্রেট খালি (১৯৭২– )
ভারতীয় পেশাদার কুস্তিগীর দ্য গ্রেট খালি শুধু WWE রিং নয়, বলিউড ও হলিউডেও অভিনয়ের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তাঁর উচ্চতা ও শক্তিমত্তা তাঁকে এক বৈশ্বিক রেসলিং আইকনে পরিণত করেছে।

 মোহাম্মদ ইউসুফ (১৯৭৪– )
পাকিস্তানের অন্যতম সফল ব্যাটসম্যান ইউসুফ তাঁর অনন্য টেকনিক ও রানের বন্যায় ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে অমলিন হয়ে আছেন।

 কার্লোস মোয়া (১৯৭৬– )
স্পেনের প্রাক্তন টেনিস তারকা মোয়া ১৯৯৮ সালে বিশ্ব এক নম্বর খেলোয়াড় হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি রাফায়েল নাদালের কোচ হিসেবে কাজ করছেন।

জেবাস্টিয়ান কুর্ৎস (১৯৮৬– )
অস্ট্রিয়ার তরুণ রাজনীতিবিদ কুর্ৎস ইউরোপের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইতিহাস গড়েন। তাঁর নেতৃত্ব দেশটির রাজনীতিতে নতুন অধ্যায় সূচনা করে।

 লুক ডে ইয়ং (১৯৯০– )
ডাচ স্ট্রাইকার ডে ইয়ং ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে গোল করার দক্ষতায় সমসাময়িক ফুটবলে গুরুত্বপূর্ণ নাম।

 লুকাস পাকেতা (১৯৯৭– )
ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার পাকেতা সৃজনশীল খেলা ও বল নিয়ন্ত্রণে বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম প্রতিশ্রুতিশীল তারকা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন।

২৭ আগস্টের এই তারকাদের জন্ম মানবসভ্যতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে আলো জ্বালিয়েছে—কেউ দর্শনে, কেউ চিকিৎসাবিজ্ঞানে, কেউ সংগীত ও ক্রীড়ায়, আবার কেউ রাষ্ট্রনির্মাণে। তাঁদের অবদান আমাদের পথ দেখায় এবং অনুপ্রাণিত করে।

আরও পড়ুন

শীর্ষ সংবাদ: