ঢাকায় নেমেই ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির খোঁজ নিলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪০, ২২ নভেম্বর ২০২৫
রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে এসে ভূমিকম্পে হওয়া ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির খোঁজখবর নিয়েছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে। শনিবার সকাল সোয়া ৮টায় ড্রুকএয়ারের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। লালগালিচা সংবর্ধনার মধ্য দিয়ে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে দুই নেতার মধ্যে সংক্ষিপ্ত বৈঠক হয়। বৈঠকে শেরিং তোবগে গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) রাজধানী ও আশেপাশে অনুভূত ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে বাবা–ছেলেসহ পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি আহত শতাধিক মানুষের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
বৈঠক শেষে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ১৯ বন্দুক স্যালুট ও গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এরপর তিনি সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশে রওনা হন। স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি স্মারক বইতে স্বাক্ষর করবেন।
দুপুরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নেবেন। পরে বিকেল ৩টার দিকে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধ্যায় আয়োজিত সরকারি নৈশভোজেও যোগ দেবেন তিনি।
পররাষ্ট্র সচিব মো. আসাদ আলম সিয়াম আগেই জানিয়েছেন, এ সফরে দুই দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ, ভুটানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ এবং কৃষি সহযোগিতা—এই তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। পাশাপাশি বাণিজ্য-বিনিয়োগ, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পর্যটন, জ্বালানি, ক্রীড়া ও শিল্পসহ বিস্তৃত সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা হবে।
বাংলাদেশ ভুটানে বাণিজ্য সম্প্রসারণ, পানি ব্যবস্থাপনা, পেশাদার জনবল নিয়োগ এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌথ সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে প্রস্তাব রাখতে পারে। আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক ইস্যুতেও দুই দেশের মধ্যে মতবিনিময় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল ২৩ নভেম্বর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন এবং বাংলাদেশ সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার সঙ্গেও বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
