বাংলাদেশ ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের জোগান দিচ্ছে: ড.ইউনূস
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০:২৩, ১৩ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২০:৪০, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশ আয়তনে ইতালির অর্ধেক হলেও ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের জোগান দিচ্ছে—এমন মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (১৩ অক্টোবর) ইতালির রোমে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ব খাদ্য ফোরামের সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ আয়তনে ছোট একটি দেশ— প্রায় ইতালির অর্ধেক। তবু আমরা ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের জোগান দিচ্ছি এবং আশ্রয় দিচ্ছি ১৩ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে, যারা মিয়ানমারে সহিংসতার মুখে পালিয়ে এসেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি, যা আমাদের প্রধান খাদ্যশস্য। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের শীর্ষ ধান, শাকসবজি ও মিঠাপানির মাছ উৎপাদনকারী দেশগুলোর অন্যতম। আমাদের কৃষকেরা ফসল চাষের ঘনত্ব ২১৪ শতাংশে উন্নীত করেছেন, যা একটি বিশাল অর্জন।”
প্রধান উপদেষ্টা জানান, “বাংলাদেশে ইতোমধ্যেই ১৩৩টি জলবায়ু-সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। কৃষিতে আধুনিক যান্ত্রিকীকরণে আমরা ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দিচ্ছি, যাতে কৃষকের উৎপাদন ব্যয় কমে ও লাভ বাড়ে।”
তিনি যোগ করেন, “আমরা শক্তিশালী খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি। এতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে, শিশুদের খর্বতা কমেছে এবং খাদ্যতালিকা বৈচিত্র্যময় হয়েছে। মাটি, পানি ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষার মাধ্যমে কৃষি এখন আরও সবুজ ও টেকসই।”
ড. ইউনূস বলেন, “আমি আনন্দিত যে ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন এফএও কর্তৃক ২০১৬ সালে গঠিত নোবেল পিস লরিয়েটস অ্যালায়েন্স ফর ফুড সিকিউরিটি এন্ড পিস -এর একজন সদস্য হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এই উদ্যোগ এখন এফএও-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমি আশা করি, এটি ভবিষ্যতে আরও নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করবে।”