খাগড়াছড়ির পানছড়ি জঙ্গলে সেনা অভিযান
ইউপিডিএফের গোপন আস্তানা উন্মোচন
অস্ত্র-গোলাবারুদসহ সরঞ্জাম উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪:০৩, ৬ অক্টোবর ২০২৫

ছবি : আইএসপিআর
সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আজ সোমবার (৬ অক্টোবর) ভোরে পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার যুবনেশ্বর পাড়া এলাকার গভীর জঙ্গলে অভিযান চালিয়ে ইউপিডিএফ (ঐক্য প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরাম) এর একটি গোপন আস্তানার সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
আজ সোমবার (৬ অক্টোবর) আইএসপিআর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তাতে বলা হয়, ভোর আনুমানিক ৫টার দিকে সেনা সদস্যরা আস্তানাটি ঘেরাও করে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ইউপিডিএফের শীর্ষস্থানীয় গ্রুপ কমান্ডার সুমেন চাকমা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার
অভিযান শেষে তল্লাশি চালিয়ে সেনাবাহিনী উদ্ধার করে—
- ০১টি পিস্তল
- ০১টি ম্যাগাজিন
- ০২ রাউন্ড গুলি
- ১৫টি ইউপিডিএফ ব্যানার
- ০২টি ওয়াকিটকি চার্জার
- ০২টি মোবাইল ফোন
- কয়েকটি ধারালো অস্ত্র
- এবং বিভিন্ন নাশকতামূলক সরঞ্জামাদি
এসব সামগ্রী থেকে ধারণা করা হচ্ছে, ইউপিডিএফের সশস্ত্র সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে ঐ এলাকায় প্রশিক্ষণ ও নাশকতা পরিকল্পনায় লিপ্ত ছিল।
অভিযানের সময় সেনাবাহিনীর কার্যক্রম ব্যাহত করতে ইউপিডিএফের সদস্যরা স্থানীয় নারী-পুরুষ ও ছাত্রছাত্রীদের সেনা বিরোধী স্লোগান দিতে বাধ্য করে বলে জানা গেছে।
সাম্প্রতিক বেশ কিছু ঘটনার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সংগঠনটি পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নারী ও কোমলমতি শিশুদেরও তাদের কর্মকাণ্ডে জড়াতে বাধ্য করছে—যা গভীর উদ্বেগের বিষয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে সশস্ত্র ইউপিডিএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। সেনাবাহিনী আরও জানিয়েছে “দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং পার্বত্য অঞ্চলের সকল জাতিগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় যেকোনো পদক্ষেপ নিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
ইউপিডিএফের এই গোপন আস্তানা উন্মোচন পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর সাফল্যের নতুন দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনীর কৌশলগত তৎপরতায় নাশকতা ও সন্ত্রাসবাদ দমনে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে বলে সূত্র জানিয়েছে।