সিরিয়ায়ও ইসরাইলের হামলা: নিহত ১২, আহত ১৮

লেবাননে হামলার পর এবার সিরিয়ায় দখলদার ইসরাইলের নতুন হামলার ঘটনা ঘটেছে।

রাজধানী দামেস্কের গ্রামীণ অঞ্চল বেইত জিন্ন ও মাযরাত বেইত জিন্নে শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) ভোরে চালানো এই হামলায় নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ১৮ জন, যার মধ্যে ইসরাইলি সেনা সদস্যই ৬ জন। আহতদের তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এবং সিরিয়ার সরকারি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বলেছে, হামলার পরও ইসরাইলি ড্রোন ওই এলাকার আকাশে টহল দিতে থাকে, বিশেষ করে দুই শহরকে সংযোগকারী প্রধান সড়কে। আল-ইখবারিয়া টিভি জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো বহু মানুষ আটকে রয়েছে। উদ্ধারকাজ চলমান থাকায় মৃত্যু আরও বাড়তে পারে। এদিকে হামলার পর বেইত জিন্ন এলাকা থেকে বহু পরিবার নিরাপদ স্থানে পালিয়ে গেছে।

এর আগে ইসরাইলি একটি টহলদল দামেস্ক অঞ্চলে ঢুকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং পরে পিছু হটে। ইসরাইলি বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অভিযানের সময় তাদের ৬ সেনা আহত হয়, যার মধ্যে তিনজন গুরুতর। তাদের দাবি, তারা ‘আল-জামা ইসলামিয়া’র কয়েকজন সদস্যকে আটক করেছে—যারা নাকি দক্ষিণ সিরিয়ায় সক্রিয় ছিল এবং ইসরাইলি বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা করছিল।

সিরিয়া সরকার এখনো এই হামলা বা ইসরাইলের দাবির বিষয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।

ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম বলছে, চলতি নভেম্বরে দক্ষিণ সিরিয়ায় ৪৭টি অভিযান পরিচালনা করেছে ইসরাইল। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে ইসরাইল সিরিয়ার ভেতরে ১,০০০–এর বেশি বিমান হামলা এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে ৪০০–র বেশি সীমান্ত অতিক্রমকারী অভিযান চালিয়েছে।

২০২৪ সালের শেষ দিকে বাশার আল–আসাদ সরকারের পতনের পর ইসরাইল গোলান মালভূমিতে নিজের দখল আরও বিস্তৃত করে এবং ১৯৭৪ সালের সিরিয়া–ইসরাইল বিচ্ছিন্নতা চুক্তিতে নির্ধারিত বাফার জোনও দখল করে নেয়—যা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের পরিষ্কার উদাহরণ বলে বিশ্লেষকেরা মন্তব্য করেছেন।