ভেনেজুয়েলায় শিগগিরই স্থল অভিযান: ট্রাম্পের ঘোষণা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় মাদক পাচার প্রতিরোধে খুব শিগগিরই একটি “স্থল অভিযান” শুরু করতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। তবে ভেনেজুয়েলা সরকার এই উদ্যোগকে মাদকবিরোধী নয় বরং সরাসরি ‘শাসক পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছে।

এএফপির প্রতিবেদনে জানা যায়, থ্যাঙ্কসগিভিং ডে উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক ভিডিও কনফারেন্সে বিদেশে মোতায়েন মার্কিন সৈন্যদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, ক্যারিবীয় অঞ্চলে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তিনি দাবি করেন, “সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আপনারা ভেনেজুয়েলার মাদক পাচার দমন করছেন। এসব পাচারকারীর সংখ্যা অনেক।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা সাগরপথে মাদক পাচার প্রায় বন্ধ করে দিয়েছি। প্রায় ৮৫ শতাংশ পাচার কার্যক্রম থামানো গেছে। এবার আমরা চাই স্থলপথেও পাচার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হোক। স্থলপথে সক্ষমতা বেশি—এবং অভিযান খুব শিগগিরই শুরু হবে।”

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক জলসীমায় মাদকবাহী নৌকায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী একাধিক হামলা চালায়। এএফপির তথ্য অনুযায়ী, এসব হামলায় অন্তত ৮৩ জন নিহত হয়েছে। একই সঙ্গে ক্যারিবীয় ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন বি-৫২ এবং বি-১বি যুদ্ধবিমানের টহলও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যা অঞ্চলটিতে শক্তি প্রদর্শনের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের ঘোষণা ভেনেজুয়েলায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। দেশটির সরকার বলছে, এটি কোনো মাদকবিরোধী পদক্ষেপ নয়, বরং প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে উৎখাত করার পরিকল্পনা। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ববর্তী নীতির ধারাবাহিকতায় এই উদ্যোগকে সামরিক চাপ বাড়ানোর কৌশল হিসেবে দেখছে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।

ট্রাম্পের মন্তব্য ও সামরিক তৎপরতা ইঙ্গিত দিচ্ছে—মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলায় সাগর ও স্থলপথ উভয় দিকেই অপারেশন জোরদার করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি কেবল মাদকবিরোধী অভিযান নয়; বরং সমগ্র অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত প্রভাব পুনর্নির্মাণের অংশ।