পাকিস্তানিদের ভিসা স্থগিত রেখেছে আমিরাত

ভিক্ষাবৃত্তিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক তৎপরতার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে পাকিস্তানের সাধারণ নাগরিকদের ভিসা ইস্যু করা সাময়িকভাবে স্থগিত রেখেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সালমান চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) পাকিস্তানের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের মানবাধিকার বিষয়ক কমিটিতে অতিরিক্ত সচিব সালমান চৌধুরী জানান, বর্তমানে কেবল কূটনৈতিক ও ব্লু-পাসপোর্টধারীদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ পাকিস্তানিদের ভিসা আবেদন গত কয়েক মাস ধরেই প্রায় বন্ধ রয়েছে।

সিনেট সদস্য এবং মানবাধিকার কমিটির চেয়ারম্যান সামিনা মুমতাজ জেহরি বলেন, পাকিস্তানের বিপুল সংখ্যক ভিসা-আবেদনকারী আবেদন করেও অনুমোদন পাচ্ছেন না। মুষ্টিমেয় যারা পাচ্ছেন— তাদেরও নানা জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

পাকিস্তানের বৈদেশিক কর্মসংস্থানবিষয়ক উদ্যোক্তা আসিম বেগ জানান, গত কয়েক বছর ধরে আমিরাতে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে ভিক্ষাবৃত্তি, প্রতারণা এবং অন্যান্য অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ বেড়েই চলেছে। সম্ভবত এ কারণেই দেশটি ভিসা ইস্যু স্থগিত করেছে। এর আগেও পাকিস্তানিদের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের চারিত্রিক সনদ বাধ্যতামূলক করেছিল ইউএই।

তবে ইসলামাবাদে ইউএই দূতাবাসের এক ঊর্ধ্বতন কূটনীতিক পাকিস্তানের জাতীয় দৈনিক দ্য ডন-কে বলেছেন, পাকিস্তানিদের ভিসা প্রদানে কোনো আনুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞা নেই।

পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। রেমিট্যান্সের অন্যতম বৃহৎ উৎস ইউএই— যেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী বিদেশিদের মধ্যে পাকিস্তানিরা অন্যতম শীর্ষ গোষ্ঠী। প্রতি বছর ইসলামাবাদে আমিরাত দূতাবাসে গড়ে ৮ লাখের বেশি পাকিস্তানি ভ্রমণ ও কর্মভিসার আবেদন করে থাকেন।