আমার কাছে ডেডলাইন তখনই, যখন যুদ্ধ শেষ হবে: ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত শান্তি উদ্যোগে আর কোনো কড়া সময়সীমা রাখছেন না বলে জানিয়েছেন। থ্যাংকসগিভিং দিবসকে কেন্দ্র করে ইউক্রেনকে দেওয়া বৃহস্পতিবারের সময়সীমা থেকে সরে এসে তিনি স্পষ্ট করেছেন—“আমার কাছে ডেডলাইন তখনই, যখন যুদ্ধ শেষ হবে।”

ফ্লোরিডায় থ্যাংকসগিভিং ছুটিতে যাওয়ার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্রের আলোচকরা রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে ইতিবাচক অগ্রগতি করছে। তাঁর দাবি, মস্কো আলোচনায় কিছু ‘অনির্দিষ্ট ছাড়’ দিতে সম্মত হয়েছে। তবে সেসব বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।

গত সপ্তাহে প্রকাশিত মার্কিন-সমর্থিত শান্তি ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে ইউক্রেনের ভেতরে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে—ওয়াশিংটন হয়তো কিয়েভকে রাশিয়া-ঝোঁকপূর্ণ কোনো চুক্তিতে চাপ দিতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, পরিস্থিতি এখন এমন যে—রাশিয়ার হাতে যুদ্ধক্ষেত্রে এগিয়ে থাকা পরিষ্কার, এবং ইউক্রেনের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থেই আলোচনায় অগ্রসর হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, “আগামী কয়েক মাসে ইউক্রেনের কিছু ভূখণ্ড যেভাবেই হোক রাশিয়ার হাতে চলে যেতে পারে।”

ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন যে তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ শিগগিরই মস্কো সফর করবেন এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। আলোচনায় সম্পৃক্ত রয়েছেন ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার, যিনি গাজা যুদ্ধবিরতির চুক্তি সম্পাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।

ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৪ অক্টোবর পুতিনের শীর্ষ উপদেষ্টা ইউরি উশাকভকে উইটকফ ফোনে বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির বিষয়ে মস্কো-ওয়াশিংটনকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং পুতিন যেন বিষয়টি ট্রাম্পের সঙ্গে আলাপ করেন। গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির মডেল থেকেই এই আলোচনার পথ খোঁজা হয়েছে।

প্রতিবেদন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, তিনি ফোন কলের রেকর্ড শোনেননি, তবে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই—“এটাই তো আলোচনার স্বাভাবিক কৌশল।”

ট্রাম্প আরও জানান, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে ইউরোপীয়দের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে কোনো নিরাপত্তা গ্যারান্টির ব্যাপারে বিস্তারিত তিনি প্রকাশ করেননি।