দিল্লির বিস্ফোরণে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নেপাল সীমান্তে উচ্চ সতর্কতা জারি ভারতৈর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১২:১৬, ১১ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১২:১৭, ১১ নভেম্বর ২০২৫
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ঐতিহাসিক লাল কেল্লার পাশে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা উপমহাদেশে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটের দিকে লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের সামনে একটি হুন্দাই আই২০ গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে, এতে ঘটনাস্থলেই অন্তত ৯ জন নিহত এবং ২০ জনের বেশি আহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
বিস্ফোরণের পর মুহূর্তেই পুরো এলাকা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, “গাড়িটি থেকে হঠাৎ ভয়াবহ শব্দ হয়, তারপর আগুনের ফুলকি ও ধোঁয়া আকাশে উঠে যায়।” বিস্ফোরণে আশপাশের কয়েকটি গাড়ি পুড়ে যায় এবং ছিন্নভিন্ন দেহাবশেষ চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। দিল্লির উপপ্রধান অগ্নিনির্বাপক কর্মকর্তা একেএ মালিক বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। প্রায় ৩৫ মিনিটের মধ্যেই আগুন নিভানো সম্ভব হয়।”
উচ্চ সতর্কতা বাংলাদেশের সীমান্তেও
বিস্ফোরণের পর ভারত সরকার বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নেপাল সীমান্তে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী বিএসএফ-কে ইতোমধ্যে অতিরিক্ত টহল চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাঞ্জাব-পাকিস্তান সীমান্ত, উত্তরপ্রদেশ-নেপাল সীমান্ত এবং বাংলাদেশ সীমান্তের বিভিন্ন চৌকিতে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
একইসঙ্গে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) এবং দিল্লি পুলিশ স্পেশাল সেল যৌথভাবে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে এটি সন্ত্রাসী হামলা কিনা, নাকি স্থানীয় নাশকতা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পাশাপাশি বিস্ফোরক উদ্ধার, জোরদার নিরাপত্তা
বিস্ফোরণের মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই হরিয়ানার ফরিদাবাদে প্রায় ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে। ঘটনার সময় বিহারে দ্বিতীয় দফার রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন চলছিল। তাই রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা উভয় দিক থেকেই ঘটনাটি ভারতের প্রশাসনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
দিল্লির জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র লাল কেল্লা ও আশপাশের এলাকাগুলোতে বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি) ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করেছে।
বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলাদেশ ও নেপাল সীমান্তের প্রশাসনও সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, সীমান্ত পেরিয়ে কোনো নাশকতাকারী দল পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে দিল্লি পুলিশ। অন্যদিকে পাকিস্তান জানিয়েছে, তারা এ ঘটনার সঙ্গে নিজেদের কোনো সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করছে।
