ট্রাম্প–সি বৈঠকের পর নতুন অধ্যায়
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫:৫৭, ২ নভেম্বর ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পতাকা। ছবি: হোয়াইটহাউস
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সামরিক সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে। মালয়েশিয়ায় আঞ্চলিক সম্মেলনের ফাঁকে দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠকে “মিলিটারি-টু-মিলিটারি” যোগাযোগ চ্যানেল পুনরায় চালু করার বিষয়ে সম্মতি গৃহীত হয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ শনিবার জানান, তার চীনা সমকক্ষ ডং জুন-এর সঙ্গে বৈঠকে উভয়পক্ষ “ডিকনফ্লিক্ট ও ডি-এসকেলেট”—অর্থাৎ সম্ভাব্য উত্তেজনা বা ভুল বোঝাবুঝি কমাতে সরাসরি সামরিক যোগাযোগ চ্যানেল পুনঃস্থাপনে একমত হয়েছে।
এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সি চিনপিং-এর মুখোমুখি আলোচনার একদিন পর। সেখানে দুই নেতা বাণিজ্য ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা করেন।
হেগসেথ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ লিখেছেন, “আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছি, এবং আমরা একমত—যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ক এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো।” তিনি আরও বলেন, “অ্যাডমিরাল ডং এবং আমি বিশ্বাস করি, শান্তি, স্থিতিশীলতা ও পারস্পরিক সম্মানই দুই শক্তিশালী দেশের জন্য সর্বোত্তম পথ।”
হেগসেথের ভাষায়, “আমরা সম্মত হয়েছি যে, সামরিক পর্যায়ে স্থায়ী যোগাযোগের মাধ্যম গড়ে তোলা জরুরি, যাতে অপ্রত্যাশিত সংঘাত এড়ানো যায় এবং সংকট পরিস্থিতি দ্রুত নিরসন করা যায়।”
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের পক্ষ থেকে জানিয়েছে, দুই দেশকেই “নীতি পর্যায়ে সংলাপ জোরদার করে আস্থা বৃদ্ধির” পথে হাঁটতে হবে। ডং জুন বলেছেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে “সমতা, সম্মান, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও স্থিতিশীল ইতিবাচক গতিধারা”-র ভিত্তিতে এগিয়ে নেওয়া জরুরি।
এদিকে, ট্রাম্পও বাণিজ্যক্ষেত্রে সমঝোতার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন, চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক ৪৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে, বিনিময়ে চীন আবারও যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন আমদানি, দুর্লভ খনিজ রপ্তানি অব্যাহত রাখা এবং ফেন্টানিল পাচার রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছে।
এই চুক্তির খসড়া ট্রাম্পের দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরের শেষ প্রান্তে সম্পন্ন হয়, যা যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের নতুন ভারসাম্য সূচিত করছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
