আনাদোলুকে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
সুদানে দুই দিনে ৩ শতাধিক নারীকে হত্যা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩:১৯, ২ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৩:৪২, ২ নভেম্বর ২০২৫
সুদানের উত্তর দারফুর রাজ্যের রাজধানী আল-ফাশিরে র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) প্রবেশের পর প্রথম দুই দিনেই তিন শতাধিক নারীকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন সুদানের সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী সালমা ইসহাক। মৃত্যুর আগে তারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (১ নভেম্বর) আনাদোলুকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানান সালমা ইসহাক।
সালমা ইসহাক সতর্ক করে বলেন, ‘আল-ফাশির থেকে উত্তর দারফুরের তাওয়িলা এলাকায় যাওয়ার পথ এখন মৃত্যুর রাস্তা হয়ে উঠেছে। যে কেউ ওই পথে বের হলেই মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে।’
তিনি আরও জানান, ‘এখনও আল-ফাশিরে বহু পরিবার রয়েছে, যারা টানা নির্যাতন, অপমান ও যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছে।’
সালমা ইসহাক ঘটনাটিকে পরিকল্পিত জাতিগত নিধন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘আল-ফাশিরে যা ঘটেছে তা এক ধরনের সংগঠিত জাতিগত নিধন। এটি এক ভয়াবহ অপরাধ, আর এই অপরাধে নীরব থেকে সবাই একভাবে দায়ী।’
উল্লেখ্য, গত ২৬ অক্টোবর আরএসএফ বাহিনী আল-ফাশির দখলে নেয় এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার তথ্যমতে, ওই সময় তারা বেসামরিক জনগণের ওপর গণহত্যা চালায়। এ হামলার ফলে সুদানের ভৌগোলিক বিভাজন আরও গভীর হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা।
অন্যদিকে, বুধবার আরএসএফ নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগালো স্বীকার করেন, আল-ফাশিরে তাদের বাহিনীর কিছু সদস্য অপকর্মে জড়িত ছিল এবং এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনী ও র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর মধ্যে চলমান সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ২০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ ও স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, এ যুদ্ধের কারণে দেশটিতে ১ কোটি ৫০ লাখের বেশি মানুষ শরণার্থী ও বাস্তুচ্যুত হিসেবে মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে।
