সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ফ্রি মডেল স্কুল ক্যাম্পেইন

পরিবেশবান্ধব ভবিষ্যৎ গড়তে ত্রিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর। বুধবার পরিবেশ অধিদপ্তর–ঢাকা অঞ্চল, গ্রিন সেভার্স এবং বিএসআরএম ফাউন্ডেশনের মধ্যে এক ত্রিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক  স্বাক্ষরের মাধ্যমে এই উদ্যোগের উদ্বোধন হয়।

ঢাকা বিভাগের ১০০টি বিদ্যালয়কে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত করতে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হলো ‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ফ্রি মডেল স্কুল ক্যাম্পেইন’। আজ বৃহস্পতিবার পরিবেশ অধিদপ্তর–ঢাকা অঞ্চল, গ্রিন সেভার্স এবং বিএসআরএম ফাউন্ডেশনের মধ্যে এক ত্রিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে এই উদ্যোগের উদ্বোধন হয়।

উদ্যোগটির মূল লক্ষ্য—শিক্ষার্থীদের পরিবেশবান্ধব অভ্যাস গড়ে তোলা, প্লাস্টিক বর্জ্য কমানো এবং স্কুলভিত্তিক টেকসই সবুজ সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করা। ক্যাম্পেইনের আওতায় ঢাকা অঞ্চলের ১৩টি জেলার নির্বাচিত ১০০টি বিদ্যালয়ে গঠন করা হবে ‘ইকো–অওয়ারনেস গ্রীন ক্লাব’। এসব ক্লাবের শিক্ষার্থীরা পরিবেশবান্ধব বিকল্প হিসেবে কাগজের কলম, কাগজের ব্যাগ, গিফট র্যাপ, অরিগামি পণ্যসহ বিভিন্ন নিজস্ব উদ্ভাবনী সামগ্রী তৈরি করবে।

ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সরাসরি প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী এবং পরোক্ষভাবে ৫০ হাজারের বেশি অভিভাবক ও স্থানীয় কমিউনিটি সদস্য সম্পৃক্ত হবেন। প্রতিটি বিদ্যালয়ে নিয়মিত সচেতনতামূলক কর্মসূচি আয়োজন ছাড়াও ত্রৈমাসিক মূল্যায়নের মাধ্যমে অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা হবে।

ত্রিপাক্ষিক সমঝোতা অনুযায়ী—গ্রিন সেভার্স: প্রকল্প পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন,বিএসআরএম ফাউন্ডেশন: CSR কাঠামোর আওতায় অর্থায়ন ও অবকাঠামোগত সহায়তা ও পরিবেশ অধিদপ্তর: নীতিগত নির্দেশনা ও শিক্ষার্থীদের তৈরি পণ্যের জাতীয় প্রদর্শনীতে সরকারি সহযোগিতা।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এনডিসি বলেন,
“একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বৈশ্বিক পরিবেশ বিপর্যয়ের প্রধান কারণগুলোর একটি। স্কুল থেকেই যদি আমরা প্লাস্টিকমুক্ত জীবনযাপনের চর্চা শুরু করতে পারি, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিজেরাই পরিবেশ–রক্ষার নেতৃত্ব দেবে। এই উদ্যোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।”

বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. জিয়াউল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তর–ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ। আরও উপস্থিত ছিলেন গ্রীন সেভার্সের প্রধান নির্বাহী আহসান রনি, বিএসআরএম গ্রুপ অব কোম্পানিজের পরিচালক সাবিন আমির, এবং তিন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

উদ্যোগটি সফল হলে মডেল স্কুল হিসেবে গড়ে উঠবে ঢাকার ১০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পরিবেশবান্ধব সমাজ নির্মাণে অনুপ্রাণিত করবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।