ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক স্যামুয়েল বাটলারের জন্মদিন আজ
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬:১৭, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
স্যামুয়েল বাটলার
আজকের দিনে জন্মেছিলেন সাহিত্য, ইতিহাস, শিল্পকলা, অভিনয়, রাজনীতি ও ক্রীড়াঙ্গনের এমন সব ব্যক্তিত্ব, যাদের কর্ম আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। তাঁদের প্রতি সমাজকালের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
স্যামুয়েল বাটলার (১৮৩৫)
ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক স্যামুয়েল বাটলার ভিক্টোরীয় যুগের সাহিত্যকে নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরেছিলেন। তার বিখ্যাত উপন্যাস ইরিহোন সমাজব্যবস্থা, ধর্ম ও মানবচরিত্রের ব্যঙ্গ-সমালোচনায় বিশ্বব্যাপী প্রশংসা কুড়ায়। বাটলারের লেখায় বিদ্রূপ, দর্শন ও সমাজ-সমালোচনার অনন্য মিশ্রণ তাকে ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লেখকে পরিণত করে।
রাইনার মারিয়া রিলকে (১৮৭৫)
জার্মান সাহিত্য জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র রাইনার মারিয়া রিলকে। তার কবিতায় একদিকে অস্তিত্বের গভীর প্রশ্ন, অন্যদিকে মানবমনের স্পর্শকাতর অনুভূতির অনুবাদ। Duino Elegies এবং Sonnets to Orpheus তাঁকে বিশ্বসাহিত্যের শীর্ষস্থানে নিয়ে গেছে। রিলকের কবিতা আজও পাঠকের মনে আনে নীরব চিন্তার সুর।
রমেশচন্দ্র মজুমদার (১৮৮৮–১৯৮০)
ভারতের প্রখ্যাত বাঙালি ইতিহাসবিদ রমেশচন্দ্র মজুমদার ছিলেন প্রাচ্যের ইতিহাস গবেষণায় এক মাইলফলক। তার বহু খণ্ডের হিস্টোরি অফ বেঙ্গল এবং হিস্টোরি অফ ফ্রিডম মুভমেন্ট ইন ইন্ডিয়া এখনো গবেষক ও পাঠকদের মূল ভরসা। ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসচর্চাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিচিত করার কৃতিত্বও তার।
দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৩–১৯৪৩)
বাংলা মঞ্চ ও চলচ্চিত্রের প্রখ্যাত অভিনেতা দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনয়শৈলীতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনেন। সংলাপ, দেহভঙ্গি ও চরিত্রে ডুবে যাওয়ার দক্ষতায় তিনি সমকালীন দর্শকদের মুগ্ধ করেন। বাংলা নাট্যশিল্পে তাঁর অবদান আজও স্মরণীয়।
আর. ভেঙ্কটরমন (১৯১০–২০০৯)
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী, আইনজ্ঞ এবং রাষ্ট্রপতি আর. ভেঙ্কটরমন ছিলেন নৈতিকতা, নেতৃত্ব ও দায়িত্ববোধের প্রতীক। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ভারতের অষ্টম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে তিনি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সংবিধান রক্ষায় দৃঢ় ভূমিকা রাখেন।
কাজী আবদুল বাসেত (১৯৩৫)
বাংলাদেশের স্বনামধন্য চিত্রশিল্পী কাজী আবদুল বাসেত চারুকলার আধুনিকতায় নতুন মাত্রা যোগ করেন। রঙের ব্যবহার, মানুষের অন্তর্গত অনুভূতির প্রকাশ এবং প্রকৃতির বিমূর্ত রূপকে তিনি ক্যানভাসে জীবন্ত করে তুলেছিলেন। শিক্ষক হিসেবেও তিনি এক প্রজন্মের শিল্পী গড়ে তুলেছেন।
কাজী মারুফ (১৯৮৩)
বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অভিনেতা কাজী মারুফ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে অ্যাকশন ও বাণিজ্যিক ছবিতে অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করেছেন। তার ইতিহাস, রাস্তার ছেলে, অফিসারসহ বহু সিনেমা তাকে আলাদা পরিচিতি এনে দেয়।
সারাহ ভিঞ্চি (১৯৯১)
অস্ট্রেলিয়ার প্যারালিম্পিক ক্রীড়াঙ্গনের পরিচিত মুখ সারাহ ভিঞ্চি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে হুইলচেয়ার বাস্কেটবলে সফলতা অর্জন করেছেন। ১-পয়েন্ট ক্যাটাগরির এই অ্যাথলেট দলকে বহুবার সাফল্য এনে দিয়েছেন দৃঢ় মনোবল ও দক্ষতায়।
