লিটনদের ধরাশায়ী করে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডের জয়
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২২:১৬, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ডের খেলার মূহুর্ত। ছবি: সমাজকাল
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একেবারেই ছন্দ খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ। ১৮২ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে টপ অর্ডারের ধস ও উইকেট পতনের মিছিলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে লাল-সবুজদের ইনিংস থামেছে মাত্র ১৪২ রানে।
বাংলাদেশকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল আইরিশরা।
ব্যাটিং ধস: ১৮ রানে ফিরল শীর্ষ চার ব্যাটার। রান তাড়ায় নেমেই বিপর্যয়।ওপেনিং যুগল তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন—দুজনেই মাত্র ১ রানে ফেরত। ওয়ান ডাউনে নেমে অধিনায়ক লিটন দাসও হতাশ করেছেন (২ রান)। চতুর্থ ব্যাটার সাইফ হাসান ১৩ বলে ৬ রান করে আউট হলে মাত্র ১৮ রানে পড়ে টপ অর্ডারের ধস।
বাংলাদেশের ইনিংস তখনই ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে যেতে শুরু করে।
হৃদয়ের একক লড়াই, ৫০ বলে ক্যারিয়ারসেরা ৮৩ রান। শুরুতে ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলী অনিক। পঞ্চম উইকেটে দুজন গড়েন ৪৮ রানের জুটি। কিন্তু ১৬ বলে ২০ রান করে জাকের ক্যাচ দিলে ভেঙে যায় সেই জুটি।
এরপর হৃদয়ের পাশে কেউ দাঁড়াতে পারেননি। একই ওভারে তানজিম হাসান সাকিব (৫), রিশাদ হোসেন (০) ও নাসুম আহমেদ (০)–তিনজনকেই ফেরান আইরিশ পেসার ম্যাথিউ হামফ্রিস।
নবম উইকেটে শরিফুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে চেষ্টা চালান হৃদয়। দুজনের ৪৮ রানের জুটি হারের ব্যবধান কমায় কিছুটা।
শেষ পর্যন্ত ৫০ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ক্যারিয়ারসেরা ৮৩ রানে অপরাজিত থাকেন হৃদয়। আইরিশরা শেষদিকে বেশ কিছু ক্যাচ না ফেললে বাংলাদেশ আরও কম রানেই থামত।
আইরিশ বোলিংয়ে ছোবল সামলাতে পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাথিউ হামফ্রিস ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৩ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দেন।
এছাড়া ব্যারি ম্যাকার্থি ও কার্টিস ক্যাম্ফারও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তুলে নেন।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮১ রান তোলে আয়ারল্যান্ড।
- হ্যারি টেক্টর ৬৯ (৪৫ বলে, ৫ ছক্কা, ১ চার)*
- টিম টেক্টর ১৯ বলে ৩২
- কার্টিস ক্যাম্ফার ১৭ বলে ২৪
বাংলাদেশের বোলারদের মাঝে মোস্তাফিজুর রহমান ছিলেন—৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান দিলেও উইকেট পাননি।
তানজিম সাকিব নেন সর্বোচ্চ ২ উইকেট, শরিফুল ও রিশাদ নেন ১টি করে।
তিন ম্যাচ সিরিজে ১–০তে এগিয়ে গেল আয়ারল্যান্ড।দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ২৯ নভেম্বর একই ভেন্যুতে।
