স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে বার্সেলোনাকে ৩–০ গোলে উড়িয়ে দিল চেলসি

চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রত্যাবর্তন যেন নতুন করে ছন্দ খুঁজে পাওয়া চেলসি। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিট দাপট দেখিয়ে ৩–০ গোলে জিতেছে লন্ডনের ক্লাবটি। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য—চেলসির জালে বল জড়ালেও তিন-তিনটি গোল বাতিল হয়েছে তাদের। তবুও বার্সা কোনোভাবেই আটকাতে পারেনি নীল জোয়ার।

এই ম্যাচের আগেই ফোকাস ছিল দুই কিশোর সুপারস্টার—চেলসির ১৮ বছর বয়সী এস্তেভাও ও বার্সার লামিন ইয়ামালকে ঘিরে। কিন্তু মাঠে দাঁড়িয়ে ইয়ামালকে প্রায় অদৃশ্য করে দেন এস্তেভাও।

দ্বিতীয়ার্ধের দশ মিনিট পর ডান দিক থেকে বল নিয়ে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জোয়ান গার্সিয়াকে পরাস্ত করে অসাধারণ গোল করেন ব্রাজিলিয়ান এই প্রতিভা। ক্লাব ও দেশের হয়ে এটি তার চলতি মৌসুমের ১০ম গোল।

এতেই ১০ জনের বার্সেলোনার জন্য ম্যাচে ফেরার পথ আরও কঠিন হয়ে পড়ে। তার আগেই ১–০ গোলে পিছিয়ে ছিল কাতালান জায়ান্টরা।

৭৩তম মিনিটে বদলি হয়ে নামা লিয়াম ডেলাপ কাছ থেকে বল জালে পাঠান। প্রথমে অফসাইড ধরা হলেও ভিএআর পর্যবেক্ষণে সিদ্ধান্ত বদলায়, গোলটি বৈধ হয়।

এর ফলে ২–০ গোলে এগিয়ে যায় চেলসি, আর ম্যাচের ফল তখনই অনেকটা নির্ধারিত হয়ে যায়।
ম্যাচের শুরু থেকে চেলসি ছিল ধারাবাহিক আক্রমণে।চতুর্থ মিনিটের গোলটি ওয়েসলি ফোফানার হ্যান্ডবলে বাতিল হলেও চাপে পড়ে যায় বার্সা।

২১তম মিনিটে পেদ্রো নেতোর গোলও অফসাইডে বাতিল হয়।
কিন্তু ২৭তম মিনিটে শর্ট কর্নার থেকে তৈরি চমৎকার আক্রমণে জুলেস কুন্দে নিজের ভুলে বল ঠেলে বসেন নিজ দলের জালে।এই আত্মঘাতী গোলেই ১–০ গোলে এগিয়ে যায় চেলসি।

বিরতির ঠিক আগে মার্ক কুকুরেয়াকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বার্সা অধিনায়ক রোনাল্ড আরাউহো।
১০ জন নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে নামা বার্সেলোনাকে এরপর চেলসির গতি আর আগ্রাসন পুরোপুরি অসহায় করে তোলে।

দুই বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগে ফিরেই গ্রুপ পর্বে পাঁচ ম্যাচে তিন জয়ে শীর্ষ আটে থেকে নকআউটে ওঠার দারুণ সুযোগ তৈরি করেছে চেলসি।

অন্যদিকে বার্সেলোনা বড় ধাক্কায়—৫ ম্যাচে মাত্র ৭ পয়েন্ট, অবস্থান ১৫ নম্বরে।শীর্ষ আটে থাকতে হলে শেষ তিন ম্যাচে অবশ্যই জিততে হবে, সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যদের ফলাফলের দিকেও।