ঢাকায় আজারবাইজান নারী ফুটবল দল

২০২৭ নারী ফুটবল বিশ্বকাপের বাছাইপর্বকে সামনে রেখে বিশেষ প্রস্তুতিতে ঢাকায় এসেছে আজারবাইজান নারী ফুটবল দল। ইউরোপীয় এই দলটি আগে কখনো কোনো এশীয় দেশের বিপক্ষে মাঠে নামেনি। ফলে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট তাদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতার পাশাপাশি বড় সুযোগও তৈরি করেছে।

আগামী ২৯ নভেম্বর ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এশিয়ার কোনো দলের বিপক্ষে অভিষেক হবে আজারবাইজানের। এরপর ২ ডিসেম্বর তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ।

আজারবাইজান নারী ফুটবলের আন্তর্জাতিক যাত্রা শুরু হয় ২০০৬ সালে রোমানিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ দিয়ে—বাংলাদেশের মেয়েদের অভিষেকের চার বছর আগে। যদিও তাদের সাফল্যের ইতিহাস সমৃদ্ধ নয়, তবু সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে দলটি। বর্তমানে তাদের অবস্থান ফিফা র‌্যাংকিংয়ে ৭৪ নম্বরে।

২০২৭ সালে ব্রাজিলে বসবে নারী বিশ্বকাপের আসর। ইউরোপীয় অঞ্চলের বাছাইয়ে আজারবাইজান রয়েছে গ্রুপ ‘সি’–তে, যেখানে প্রতিপক্ষ হাঙ্গেরি, নর্থ মেসেডোনিয়া ও আন্দোররা।

আগে কখনো কোনো বড় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে কোয়ালিফাই করতে না পারা দলটি এবার বাছাইপর্বকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। আগামী ৩ মার্চ নর্থ মেসেডোনিয়ার বিপক্ষে তাদের প্রথম বাছাই ম্যাচ। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে কোনো ফিফা উইন্ডো না থাকায় আন্তর্জাতিক প্রস্তুতির সুযোগ সীমিত। তাই বাংলাদেশের আমন্ত্রণকে তারা স্বাগত জানিয়ে ঢাকায় এসেছে।

ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে আজারবাইজানের কোচ সিয়াসাত আসগরভ বলেন,“এই টুর্নামেন্টের জন্য আমাদের দেশের বিশেষ প্রস্তুতি রয়েছে। আমাদের জাতীয় দলের ১৫ জনের বেশি খেলোয়াড় বিভিন্ন লিগে খেলছে। এখানে এসেই আমরা কার্যত প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু করেছি।”

তিনি আরও বলেন,“ফেব্রুয়ারিতে প্রস্তুতির সুযোগ নেই বলে আমরা মার্চের অফিসিয়াল ম্যাচের আগে পুরো শক্তি নিয়েই বাকুতে অনুশীলন করব। বাংলাদেশের এই দুই ম্যাচ আমাদের প্রস্তুতিতে দারুণ ভূমিকা রাখবে। ইউরোপ ও এশিয়ার ফুটবলে খুব বেশি পার্থক্য নেই—এটাই আমরা বিশ্বাস করি।”

আজারবাইজানের মতোই বাংলাদেশ নারী দলও এই সিরিজকে দেখছে নিজেদের সক্ষমতা যাচাইয়ের সুযোগ হিসেবে। ইউরোপীয় দলের বিপক্ষে খেলে নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করবে মারিয়া-মৌসুমীরা।