২০৩০ কমনওয়েলথ গেমস কোথায় হবে জানা যাবে বুধবার
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩:৪৪, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
ভারতের হাতে কি উঠছে ২০৩০ সালের কমনওয়েলথ গেমসের আয়োজক স্বীকৃতি? বহুদিনের জল্পনার অবসান হতে পারে বুধবার। সেদিনই গ্লাসগোতে কমনওয়েলথ স্পোর্টস জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে ভোটাভুটি হবে, এবং ভারতীয় বিডের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন মিলতে পারে বলে শক্ত ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
গত এক মাস ধরেই আয়োজক হওয়ার বিষয়টি কার্যত নিশ্চিত বলে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছিল। এবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা।
২০১০ সালে দিল্লিতে চমকপ্রদ আয়োজনের পর দেশটির দ্বিতীয় আয়োজক শহর হতে চলেছে আহমেদাবাদ। গত দশকে শহরটি ক্রীড়া অবকাঠামো উন্নয়নে নজির গড়েছে। সারদার প্যাটেল স্পোর্টস এনক্লেভ—যেখানে ইতোমধ্যে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম, আধুনিক অ্যাকোয়াটিক্স সেন্টার, ইনডোর অ্যারেনা ও নতুন ফুটবল স্টেডিয়ামের নির্মাণ দ্রুতগতিতে চলছে—হয়ে উঠছে ভারতের ক্রীড়া রাজধানী।
৩,০০০ অ্যাথলিট ধারণক্ষম অ্যাথলিট ভিলেজও যুক্ত হচ্ছে এ কমপ্লেক্সে।
বিড মূল্যায়নে ভারতের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা, অবকাঠামো, অ্যাথলিট অভিজ্ঞতা ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয় দারুণভাবে প্রভাব ফেলেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ছিল নাইজেরিয়ার আবুজা। তবে কমনওয়েলথ স্পোর্টস ২০৩৪ সালের আয়োজনের জন্য আফ্রিকান দেশটিকে উৎসাহিত করছে।
অ্যাসেম্বলিতে ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে থাকছেন—ক্রীড়া মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব কুনাল,আইওএ সভাপতি পি.টি. উষা ও গুজরাটের ক্রীড়ামন্ত্রী হর্ষ সাংভি, কমনওয়েলথ স্পোর্ট জানিয়েছে, ২০৩০ আয়োজনের সিদ্ধান্তটি হবে আন্দোলনের ১০০ বছরের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
অনেক দেশ যখন কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের আগ্রহ হারাচ্ছে, তখন ভারত এই আয়োজনকে বড় কৌশলগত ধাপ হিসেবে দেখছে। কারণ দেশটির মূল লক্ষ্যে রয়েছে ২০৩৬ সালের অলিম্পিক আয়োজন—যার প্রস্তাবও আহমেদাবাদকে কেন্দ্র করে।
এটি ভারতের ক্রীড়া-অর্থনীতির জন্যও বড় বিনিয়োগ। ২০১০ সালে দিল্লি গেমস আয়োজনের খরচ হয়েছিল প্রায় ৭০,০০০ কোটি টাকা।
সম্প্রতি আহমেদাবাদে হয়েছে—কমনওয়েলথ ওয়েটলিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপ, এশিয়ান অ্যাকোয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ ও এএফসি অনূর্ধ্ব–১৭ ফুটবল কোয়ালিফায়ার।
আগামী বছর আয়োজন করছে এশিয়ান ওয়েটলিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপ ও এশিয়া প্যারা–আর্চারি কাপ। এছাড়া ২০২৯ সালে আহমেদাবাদ, গান্ধীনগর ও এক্তা নগরে হতে যাচ্ছে ওয়ার্ল্ড পুলিশ অ্যান্ড ফায়ার গেমস।
২০২৬ সালের গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসে খরচ কমাতে মাত্র ১০টি খেলা রাখা হয়েছে, তালিকা থেকে বাদ পড়েছে শুটিং, রেসলিং, ব্যাডমিন্টন ও হকি।
ভারত ২০৩০ সংস্করণের বিডে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—শুটিং, কুস্তি, আর্চারি, কবাডি, খো খো সহ সব জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী খেলা পুনর্বহাল করা হবে।
ক্রীড়া বিশ্বে ভারতের claim to global leadership আরও এক ধাপ এগোবে কি না, তা জানা যাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই। আয়োজক স্বীকৃতি মিললেই ২০৩০ কমনওয়েলথ গেমস হবে ভারতের বড় ক্রীড়া-যাত্রার টার্নিং পয়েন্ট।
