অক্সফোর্ড ইউনিয়নের প্রথম ফিলিস্তিনি সভাপতি
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯:১৯, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫
আরওয়া হানিন এলরাইশ। ছবি সংগৃহীত
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটি অক্সফোর্ড ইউনিয়নের নতুন সভাপতি হিসেবে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী আরওয়া হানিন এলরাইশ নির্বাচিত হয়েছেন। বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ এই স্টুডেন্ট সোসাইটিতে প্রথমবারের মতো কোনো ফিলিস্তিনি নারী নেতৃত্বে আসায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ট্রিনিটি টার্ম ২০২৬-এর জন্য সভাপতি পদে এলরাইশ ৭৫৭ ভোট পেয়ে এগিয়ে যান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে প্রায় ১৫০ ভোট বেশি ছিল এই সংখ্যা। এবারের নির্বাচনে ভোট পড়েছে এক হাজার পাঁচশতাধিক, যা গত টার্মের তুলনায় বেশি।
পিপিই (দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি) বিষয়ে অধ্যয়নরত এলরাইশ যুক্ত রয়েছেন সেন্ট এডমন্ডস হল কলেজের সাথে। নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি বলেন, সদস্যদের আস্থা ও সমর্থনে তিনি কৃতজ্ঞ।
তিনি জানান, ভিন্নমতকে পাশে রেখে সবার অংশগ্রহণে ইউনিয়নকে আরও সক্রিয় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার লক্ষ্য নিয়ে তিনি কাজ করতে চান।
এলরাইশ পূর্বে ‘হার্ট অব অ্যা প্রোটেস্ট’ নামে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণে অংশ নিয়েছিলেন। লন্ডনে ফিলিস্তিন সংহতি আন্দোলন নিয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্রে সাম্প্রতিক গাজা হামলার পর উদ্ভূত প্রতিবাদগুলোর চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। নির্মাতাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে বলা হয়েছে, পাঁচজন তরুণের চেষ্টা ও কোনো বাজেট ছাড়াই তৈরি হয়েছে চলচ্চিত্রটি।
১৮২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত অক্সফোর্ড ইউনিয়ন যুক্তরাজ্যের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় সোসাইটিগুলোর একটি। বিশ্বখ্যাত বক্তা, গবেষক ও নীতিনির্ধারকদের নিয়ে বিতর্ক, প্রশ্নোত্তর পর্ব ও বিভিন্ন কর্মশালার আয়োজন করে বলে এটি বিশেষভাবে পরিচিত।
সম্প্রতি ইউনিয়নে দুটি অনাস্থা ভোটকে কেন্দ্র করে আলোচনার ঝড় ওঠে। প্রেসিডেন্ট মুসা হাররাজ শেষ পর্যন্ত অনাস্থা ভোটে টিকে গেলেও তার উত্তরসূরি জর্জ আবারাোনিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে পদ হারান। মার্কিন রক্ষণশীল ব্যক্তিত্ব চার্লি কার্ক নিহত হওয়ার সময় সামাজিক মাধ্যমে তার বিদ্রূপমূলক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সমালোচনা শুরু হয়।
এমন প্রেক্ষাপটের মধ্যেই এলরাইশের নেতৃত্বে আসা ইউনিয়নের জন্য একটি নতুন অধ্যায় হিসেবে দেখা হচ্ছে। তার নির্বাচনকে অনেকেই বহুত্ববাদ ও শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণের ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরছেন।
সূত্র: মিডল ইস্ট আই
