রাতের মহাকাশ থেকে দীপ্তিমান কাবার ছবি
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫:২১, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫
রাতে মহাকাশ থেকে দীপ্তমান কাবা প্রাঙ্গণের ছবিটি তুলেছেন নভোচারী ডন পেটিট। ছবি: এক্স
সম্প্রতি মহাকাশ থেকে তোলা পবিত্র মক্কার অসাধারণ একটি ছবি বিশ্ব জুড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই ছবিতে পবিত্র কাবা শরিফকে মনে হচ্ছে এক উজ্জ্বল আলোর বিন্দুর মতো, যা ভূ-পৃষ্ঠের প্রায় ৪০০ কিলোমিটার উপর থেকে স্পষ্ট দৃশ্যমান। এই মুগ্ধকর ছবিটি তুলেছেন নাসার নভোচারী ডন পেটিট।
নাসার নভোচারী ডন পেটিট আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) থেকে ফিরে এসে ছবিটি এক্সে প্রকাশ করেন। তিনি ক্যাপশনে লিখেন, ‘সৌদি আরবের মক্কার মহাজাগতিক দৃশ্য। মাঝখানে যে উজ্জ্বল বিন্দুটি দেখা যাচ্ছে, সেটি হলো ইসলাম ধর্মের পবিত্রতম স্থান কাবা, যা মহাকাশ থেকেও দৃশ্যমান।’
নভোচারী পেটিট তার চতুর্থ আইএসএস অভিযানে মহাকাশ ফটোগ্রাফিতে শৈল্পিক দক্ষতার জন্য সুপরিচিত। তিনি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এই মিশনে ছিলেন। পেটিট মহাকাশ স্টেশনের ‘কুপোলা’ জানালা থেকে একটি উচ্চ-রেজোলিউশন নিকন ক্যামেরা ব্যবহার করে এই দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দী করেন।
ছবিতে দেখা যায়, রুক্ষ উপত্যকার মাঝে মক্কা শহর বিস্তৃত হয়ে আছে এবং মসজিদে হারাম এই দৃশ্যে প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। ঘন কালো কিসওয়া কাপড়ে মোড়া কিউব আকৃতির কাঠামো কাবা শরিফে রাতে বিশেষ আলোকসজ্জার ব্যবস্থা থাকে। অবিরাম এই আলোকসজ্জার কারণে কাবা শরিফ মহাকাশ থেকেও আলোকবর্তিকা রূপে দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
মহাকাশ স্টেশন থেকে শহরগুলো সাধারণত লক্ষ লক্ষ এলইডি এবং সোডিয়াম বাতির কারণে উজ্জ্বল আলোকময় দেখা যায়। কিন্তু কাবার এই বিশেষ উজ্জ্বলতা আসে মূলত মসজিদে হারামে ২৪ ঘণ্টা আলো ঝলমলে পরিবেশ থেকে, যা নামাজ ও হজযাত্রীদের জন্য সবসময় আলোকিত থাকে।
আইএসএস ঘণ্টায় প্রায় ২৮ হাজার কিলোমিটার গতিতে চলার কারণে মহাকাশ থেকে দ্রুত ছবি তোলার প্রয়োজন হয়। ডন পেটিট তার দীর্ঘ এক্সপোজার ফটোগ্রাফির দক্ষতার মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছেন।
পেটিট এর আগে মেরুজ্যোতি, বিভিন্ন শহরের দৃশ্য ও মহাজাগতিক নানা ঘটনার ছবি তুলেছেন। মহাকাশ থেকে পৃথিবীর বিস্ময়কর দৃশ্য তোলে তিনি মানুষের মনে অনুপ্রেরণা জাগিয়ে চলেছেন।
