মসজিদে নববীর জুমার খুতবা
অন্তর দৃঢ় করার দোয়া
প্রকাশ: ২৩:৪০, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২৩:৪৫, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫
মসজিদে নববীতে জুমার নামাজের খুতবা দিচ্ছেন শায়খ হুসাইন আলে শায়খ। ছবি: ওয়াকালাতুল আম্বাইস সুয়ুদিয়্যাহ
মদিনার মসজিদে নববীর ইমাম ও খতিব শায়খ হুসাইন আলে শায়খ আজ জুমার খুতবায় আয়াতুল কুরসির মাহাত্ম্য তুলে ধরেছেন এবং এটাকে অন্তর দৃঢ় করার দোয়া হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, আয়াতুল কুরসিতে মহান আল্লাহর একত্ব ও পরিপূর্ণতার ঘোষণা রয়েছে। এটি দোয়া হিসেবে খুব শক্তিশালী এবং নানা ক্ষতিকারক দিক থেকে হেফাজতের ক্ষেত্রেও শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে মুমিনের জীবনে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
খতিব বলেন, আয়াতুল কুরসি মানুষের অন্তরকে দৃঢ় করে এবং মানুষকে আল্লাহর ওপর ভরসা ও নির্ভরতার শিক্ষা দেয়। এটি পাঠ করলে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি রাতে ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পড়ে, মহান আল্লাহ তার জন্য একজন হেফাজতকারী নিযুক্ত করেন। এতে সকাল পর্যন্ত শয়তান তার কাছে আসতে পারে না।
তিনি আয়াতুল কুরসি সম্পর্কে বলেন, এখানে আল্লাহর সত্তা ও গুণাবলি সৌন্দর্যের সঙ্গে বর্ণিত হয়েছে। মহান আল্লাহ চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী, সবকিছু পরিচালনা করেন, ক্লান্তি বা তন্দ্রা তাকে স্পর্শ করে না। আসমান-জমিনের সার্বিক মালিকানা তারই হাতে। তার অনুমতি ছাড়া কেউ সুপারিশ করতে পারে না। তার ইলম সবকিছু পরিব্যাপ্ত করে আছে। তার কুরসি (সিংহাসন) আসমান-জমিনকে পরিবেষ্টন করে আছে। এত বড় সৃষ্টিকে পরিচালনা করা তার জন্য কঠিন নয়।
খুতবার শেষে খতিব মুমিনদের প্রতি আহ্বান জানান, দৈনন্দিন জীবনে কোরআন পাঠের পাশাপাশি আয়াতুল কুরসি পাঠ যেন নিয়মিত করা হয়। আল্লাহর জিকির মানুষের হৃদয়ে প্রশান্তি আনে এবং তাকে সঠিক পথে অটল রাখে। আর আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করা, তার প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখা এবং সব কাজে তার সাহায্য কামনা করা মুমিনের গুণ।
