আখেরাতের চেয়ে দুনিয়াকে প্রাধান্য দেয়ার পরিণতি
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭:১৩, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
যারা আখেরাত বিমুখ হয়ে কেবল দুনিয়া অর্জনের সংকল্পে লিপ্ত হয় তাদের পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। মানুষের মন স্বভাবতই দৃশ্যমান পৃথিবীর চাকচিক্যের প্রতি দুর্বল। ক্ষণস্থায়ী জীবনের মোহ তাকে এমনভাবে আচ্ছন্ন করে রাখে, সে তার অনন্তকালের গন্তব্যের কথা ভুলে যায়। অথচ দুনিয়ার এই জীবন তো কেবল এক পরীক্ষাগার।
মুমিনের দৃষ্টি সবসময় নিবদ্ধ থাকে আখেরাতের দিকে। কারণ সে জানে দুনিয়ার লোভনীয় হাতছানি মূলত এক মরীচিকা মাত্র। মহান আল্লাহ ও তার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে বারবার দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করে আখেরাতমুখী হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। কারণ আখেরাতকে প্রাধান্য দিলেই কেবল দুনিয়া ও পরকালের প্রকৃত সফলতা অর্জন সম্ভব।
যে আখেরাতমুখী হবে সে দুনিয়া-আখেরাত সবই পাবে। পক্ষান্তরে যে দুনিয়াকে প্রাধান্য দিবে সে দুনিয়াও হারাবে আখেরাতও পাবে না, অর্থাৎ আখেরাতে জাহান্নামে যেতে হবে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মহান আল্লাহ বলেন, হে আদম সন্তান! তুমি আমার ইবাদতের জন্য নিজকে নিয়োজিত করো, আমি তোমার বক্ষকে অমুখাপেক্ষিতা দিয়ে পূর্ণ করে দেব। তোমার দারিদ্রতাকে দূর করে দেব। আর যদি তা না করো আমি তোমার বক্ষ ব্যস্ততায় পূর্ণ করে দেব। আর তোমার জন্য দারিদ্রতা অবশিষ্ট রেখে দেব।’ (মুস্তাদরাকে হাকিম ২/৪৪৩)
মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘যে আখেরাতের ফসল কামনা করে, আমি তার জন্য তার ফসলে প্রবৃদ্ধি দান করি। আর যে দুনিয়ার ফসল কামনা করে আমি তাকে তা থেকে কিছু দিই। কিন্তু আখেরাতে তার জন্য কিছুই থাকবে না।’ (সুরা শুরা ২০)
দুনিয়া কামনাকারী দুনিয়া তো পায়, তবে ততটা নয়, যতটা সে চায়। বরং ততটা পায়, যতটা মহান আল্লাহ চান এবং তার লিখিত তকদিরে নির্ধারিত থাকে।
