গাজার গ্রেট ওমারি মসজিদ পুনরুদ্ধারে কাজ শুরু
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩:৪১, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২৩:৪৭, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
গ্রেট ওমারি মসজিদ। ছবি: বিবিসি
সামরিক আগ্রাসনে গাজার ক্ষতবিক্ষত ভূমিতে এখন পুনরুদ্ধার ও সংস্কার কাজ শুরু করেছেন বাসিন্দারা। গ্রেট ওমারি মসজিদসহ একাধিক ঐদিহাসিক স্থাপনাকে কেন্দ্র করে পুনরুদ্ধারের এই উদ্যোগ এখন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনাম।
আল-আরাবিয়া ইংলিশের সাম্প্রতিক এক ভিডিও প্রতিবেদনে দেখা যায়, গাজা সিটির প্রাচীনতম এই ধর্মীয় ও স্থাপত্য নিদর্শনটির পুসরুদ্ধারের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।
সেই প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয়, ইসরায়েলের নিরবচ্ছিন্ন সামরিক পদক্ষেপের কারণে ধ্বংস হওয়া মসজিদটির পুনরুদ্ধারে কর্মীরা নিয়োজিত হয়েছেন। এটি কেবল একটি উপাসনালয় নয়, বরং কয়েক শতাব্দীর ফিলিস্তিনি ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক।
প্রথম ধাপে কর্মীরা মসজিদের বিশাল ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজে মনোনিবেশ করেছেন। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, শ্রমিকরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ধ্বংসস্তূপ থেকে নুড়ি, ভাঙা পাথর ও অন্যান্য উপকরণগুলো আলাদা করে রাখছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, মসজিদের আসল স্থাপত্য শৈলী ও উপকরণ যতটা সম্ভব অক্ষুণ্ণ রেখে পুনর্নির্মাণের কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। এই সচেতন উদ্যোগ প্রমাণ করে, তারা পুনরুদ্ধারের কাজে ব্যবহারযোগ্য প্রতিটি ঐতিহাসিক উপাদান সংরক্ষণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন। হাজার বছরের পুরনো এই স্থাপনার প্রতিটি পাথর যেন ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে।
গ্রেট ওমারি মসজিদকে গাজার অন্যতম প্রাচীন স্থাপনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। খ্রিস্টপূর্ব সময় থেকে শুরু করে বিভিন্ন যুগে এটি বিভিন্ন রূপে বিদ্যমান ছিল, যা এটিকে বহু সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে। তাই মসজিদটির এই পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা শুধুমাত্র একটি অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ নয়, বরং ফিলিস্তিনি জনগণের গভীর সংকল্পের প্রতিচ্ছবি। চরম প্রতিকূলতা ও ধ্বংসের মাঝেও নিজ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার যে দৃঢ় সংকল্প, এই কাজের মধ্যে দিয়ে তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
