ধর্মের কোনো অপব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য নয়: ধর্ম উপদেষ্টা

নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হয় এমন উত্তেজনা তৈরি করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। ধর্মের অপব্যাখ্যা করে বিশৃঙ্খলা তৈরির সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না বলেও হুশিয়ারি দেন তিনি।

‘ধর্মের বিষয়ে শুধু প্রকৃত আলেম-ওলামাদের ব্যাখ্যাই গ্রহণযোগ্য। কোনো অপব্যাখ্যাকে গ্রহণ করা হবে না’- বলেন ধর্ম উপদেষ্টা।

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব পাশে ‘ইন্টারন্যাশনাল কোরআন রিসাইটেশন কনফারেন্স-২০২৫’ এ প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। ইন্টারন্যাশনাল কোরআন রিসাইটেশন অ্যাসোসিয়েশনের (ইকরা) এই সম্মেলনে অংশ নেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন বিদেশি দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত, মিশন প্রধান, প্রসিদ্ধ ক্বারিসহ আলেম-ওলামারা। 

ড. খালিদ বলেন, ইসলাম, আল্লাহ, কোরআন, হাদিস, কবর, হাশর, জান্নাত, জাহান্নাম, শরিয়ত, মারফত, হকিকত ইত্যাদির ব্যাখ্যা দেবেন হাক্কানি আলেম-ওলামারা। যাদের এ বিষয়ে জ্ঞান নেই, তারা শরিয়তের ব্যাখ্যা দিতে গেলে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে, উত্তেজনাও সৃষ্টি হতে পারে। ধর্মের অবমাননা হতে পারে, এমনকি কটূক্তিও হতে পারে’। 

তিনি বলেন, ‘কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। আমরা আইন মেনে চলব। আমরা কেউ আইন হাতে তুলে নেব না, বিচারের ভার নিজের হাতে নেব না। বিচারের জন্য আইন আছে, আদালত আছে, সরকার আছে’। 

তাই সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার অনুরোধ জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এমন কোনো কাজ করবো না, যাতে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এমন কোনো কাজ করবো না, যাতে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। আমরা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবো, সচেতনভাবে পা ফেলবো’। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোরআনের উর্বর ভূমি। প্রতি বছরই বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে এদেশের হাফেজ ও ক্বারিরা পুরষ্কার নিয়ে আসছেন। এটি আমাদের জন্য গর্ব ও আনন্দের বিষয়’। 

ড. খালিদ হোসেন বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে দ্বীনি দাওয়াত বিভাগ যে বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতিযোগী নির্বাচন করে, সেটি নিখুঁত হওয়াই আমরা আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়ে আসছি’।  

হাফেজ, ক্বারি, ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর চেষ্টা চালানোরও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। 

ইকরার সভাপতি ক্বারি শেখ আহমেদ বিন ইউসুফ আল-আযহারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব তানভীর আহমেদ, পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআইজি এজাজ আহমেদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক হারুনুর রশিদ।