সুখে থাকতে এক স্বামী বা স্ত্রী–ই যথেষ্ট: নতুন নির্দেশনায় ভ্যাটিকান

ক্যাথলিকদের জন্য এক স্বামী বা এক স্ত্রী–ই যথেষ্ট—এমন স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে ভ্যাটিকান। বিয়ের মতো পবিত্র সম্পর্কে সুখে থাকতে কোনো জটিল সমীকরণ নয়, একটি নিবেদিত সম্পর্কই যথেষ্ট—এমন মত ব্যক্ত করেছে ক্যাথলিক চার্চের সর্বোচ্চ তাত্ত্বিক কার্যালয়। পোপ লিওর অনুমোদনের পর নতুন নির্দেশনাটি বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৪০ কোটি ক্যাথলিকের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।

নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, একজনকেই জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেওয়া এবং তার প্রতিই অটুট অঙ্গীকার বজায় রাখা—এটাই ক্যাথলিক মতবাদের মূল শিক্ষা। এতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, “প্রতিটি বৈধ বিবাহ হলো দুই ব্যক্তির এমন মিলন, যা এতই অন্তরঙ্গ যে অন্য কারও সঙ্গে তা ভাগ করা যায় না।”
আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে দীর্ঘদিনের সাংস্কৃতিক চর্চা হিসেবে বহুবিবাহ প্রচলিত। সেখানে অনেক ক্যাথলিক অনুসারীই একাধিক সম্পর্কে জড়ান। ভ্যাটিকান এই প্রথাকে ধর্মীয় মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে উল্লেখ করেছে। চার্চের ব্যাখ্যায়, বহুবিবাহ, ব্যাভিচার কিংবা একাধিক প্রেম মূলত এমন বিভ্রান্ত ধারণা, যেখানে মনে করা হয়—একাধিক সম্পর্কে জড়ালে তবেই গভীর সম্পর্ক পাওয়া যায়। চার্চ বলছে, এই ধারণা ভুল।

নির্দেশনায় পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে, একসঙ্গে একাধিক সম্পর্কের প্রবণতা সেখানে বাড়ছে। ভ্যাটিকান মনে করে, এটি বিবাহ প্রতিষ্ঠানের স্থায়িত্বকে নষ্ট করছে এবং ব্যক্তিগত মূল্যবোধেও আঘাত করছে।
এই নির্দেশনায় সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে প্রথাগত বিবাহের সৌন্দর্য, আধ্যাত্মিক মূল্য ও পবিত্রতা নিয়েই মূলত আলোকপাত করা হয়েছে।

এছাড়া ক্যাথলিক চার্চ বিবাহবিচ্ছেদকে স্বীকৃতি দেয় না, কারণ তাদের মতে বিয়ে হলো জীবনভর সঙ্গ থাকার অঙ্গীকার। তবে ‘বিয়ে বাতিল’ করার প্রক্রিয়া রয়েছে, যেখানে বিবাহটি আদৌ সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছিল কিনা তা যাচাই করা হয়।
নিপীড়নমূলক বা সহিংস সম্পর্কে থাকার বিষয়ে ভ্যাটিকান স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে—এ ধরনের সম্পর্ক যে কোনো অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং তা থেকে বেরিয়ে আসাই সঠিক সিদ্ধান্ত।