শপথ ও বক্তব্যের মাঝে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়লেন শফিকুর রহমান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১:৩৯, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
শপথ ও বক্তব্যের মাঝে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়লেন শফিকুর রহমান। ছবি: সমাজকাল
দলের আমির হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় বারবার কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ডা. শফিকুর রহমান। শপথ পরবর্তি বক্তব্যের মাঝেও তিনি বেশ কয়েকবার আবেগাপ্লুত হন ও কান্নায় ভেঙে পড়েন।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মগবাজারের আল-ফালাহ মিলনায়তনে পুনর্নির্বাচিত আমির হিসেবে ২০২৬-২০২৮ মেয়াদের জন্য শপথ নেন ডা. শফিকুর রহমান।
শপথ নেওয়ার পর আমির বলেন, আমি নিজেকে এই দায়িত্বের জন্য মোটেও যোগ্য মনে করি না। এই মজলুম সংগঠনটিতে দীর্ঘ সময় ধরে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের হাতে যে মানুষ তৈরি হয়েছে তাদের মধ্যে আমার চেয়ে অনেক যোগ্যতাসম্পন্ন, দক্ষ ও অভিজ্ঞ সহকর্মী রয়েছেন। তারপরেও আমি জানি না সম্মানিত সদস্যরা কেন আমাকে তাদের এই আমানতের ভার দিয়েছেন। আমি নিজেকে এই দায়িত্বের জন্য মোটেও যোগ্য মনে করি না।
আমির নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করা দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাছুম তাকে শপথ পাঠ করান। এ দফায় তৃতীয়বারের মতো জামায়াতের আমির হলেন তিনি।
গত ৯ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর সদস্যদের গোপন ভোটগ্রহণের মাধ্যমে ২০২৬-২০২৮ মেয়াদে জামায়াতের আমির নির্বাচন করা হয়। এতে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৯২ জন রুকন (শপথধারী সদস্য) ভোট দেন। সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পেয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো আমির নির্বাচিত হন ডা. শফিকুর রহমান।
আজ ও আগামীকাল (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার বার্ষিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে সন্ধ্যায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। শপথগ্রহণ
অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বিগত সরকার জামায়াত এবং তার নেতাদের ওপর অন্যায়-জুলুম চালিয়েছে উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জেলখানা ছিল আমাদের প্রথম বাসস্থান। বারবার আমাদের আটকে রাখা হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে সত্যিকারের কোনো অভিযোগ ছিল না। অভিযোগ একটাই যে, আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতাম। কিন্তু সেই প্রতিবাদটাও আমরা স্বস্তির সঙ্গে করতে পারতাম না। আমাদের ওপর নানাবিধ অপশাসন, কালো আইন ও হুকুম চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
