তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল নির্বাচনকে সুসংহত করবে: খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করে তুলবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) ফ্রি মেডিকেল ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খসরু বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনুপস্থিতিতে মানুষকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। এবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরেছে। কিভাবে এটি গঠন হবে সেটা নিয়ে আলোচনা হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব এই ব্যবস্থার অধীনে। ইতিহাস প্রমাণ করেছে, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনগুলো এই ব্যবস্থার অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “প্রতিটি দলের নিজস্ব দর্শন ও ভাবনা আছে। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে দলগুলো জনগণের কাছে নিজেদের বার্তা পৌঁছে দিতে চাচ্ছে। বিগত দিনের অপসংস্কৃতি থেকে রাজনীতিতে ইতিবাচক সংস্কৃতি চালুর পক্ষে বিএনপি। অনির্বাচিত সরকারের অধীনে দেশ কতটা পেছাতে পারে, মানুষ তা দেখেছে। জনগণের রায়কে সম্মান দিয়ে কাজ করা যতটা সহজ, সেটা অনির্বাচিত সরকারের অধীনে সম্ভব নয়।”

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে আপিল বিভাগ সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করেছে। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা ছিলেন— বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস এম ইমদাদুল হক, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।

রায়ে বলা হয়েছে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, আর চতুর্দশ সংসদ নির্বাচন থেকে কার্যকর হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। রায় ঘোষণার সময় আইনজীবী ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।