ইসলামী ৮ দলের যৌথ সমাবেশ
পাঁচ দফা দাবিতে পল্টন মোড়ে নেতাকর্মীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪:৪৭, ১১ নভেম্বর ২০২৫
পুরানা পল্টন মোড়ে ইসলামী ৮ দলের যৌথ সমাবেশ। ছবি: সংগৃহীত
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারি ও জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে পল্টন মোড়ে জড়ো হচ্ছেন জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনসহ সমমনা আটটি দলের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে পাঁচ দফা দাবির এই আন্দোলনের পঞ্চম ধাপের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি হিসেবে এই সমাবেশ শুরু হয়েছে।
সমাবেশে বক্তব্য দেবেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানসহ অন্যান্য আট দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। আর এই যৌথ সমাবেশের সভাপতিত্ব করবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
সমাবেশের কারণে কাকরাইল হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে পল্টন পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। কোনো যানবাহন পল্টন মোড়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে নেতা কর্মীরা মিছিল নিয়ে স্লোগান দিয়ে পল্টনে জড়ো হচ্ছেন।
ইসলামী ৮ দলের যৌথ সমাবেশ জন্য পল্টন মোড়ের দক্ষিণ সড়কে তৈরি করা হয়েছে দুটি ট্রাকের ওপর অস্থায়ী মঞ্চ। মঞ্চের আশপাশে ও সংলগ্ন সড়কগুলোতে নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি। বিভিন্ন স্লোগানে সমাবেশস্থল মুখর করে রেখেছেন নেতাকর্মীরা। সবার হাতে দলীয় পতাকা, প্রতীক ও প্ল্যাকার্ড।
এদিকে যৌথ সমাবেশের স্বেচ্ছাসেবকরা সমাবেশের অন্য পাশের সড়কে চলাচল স্বাভাবিক রাখার কাজ করছেন ।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন প্রশ্নে গণভোট কবে হবে—সেই বিরোধ মিটিয়ে দলগুলোকে সমঝোতায় আসতে অন্তর্বর্তী সরকারে সাত দিনের সময় গতকাল সোমবার শেষ হয়েছে। তবে এই সাত দিনে সমঝোতার কোনো সংবাদ আসেনি। এমনকি দলগুলোর মধ্যে এ নিয়ে একসঙ্গে বসার কোনো উদ্যোগও নেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার। এমন পরিস্থিতিতে আজকের এই সমাবেশে লাখো লোকের সমাগম ঘটানোর ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন জামায়াত নেতা হামিদুর রহমান আযাদ।
গতকাল সোমবার বিকেলে সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আট দল বৈঠকে বসে। বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আযাদ জানান, এই সমাবেশ থেকে সরকারকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে চায় আট দল। তিনি বলেন 'হাজার হাজার নয়, লাখ লাখ মানুষ এই সমাবেশে যোগ দেবেন।'
যৌথ সমাবেশের অন্য দলগুলো হলো- খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।
