‘নূর হোসেন গণতন্ত্রের মুক্তির প্রতীক’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২:৩৯, ১০ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২২:৪০, ১০ নভেম্বর ২০২৫
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন , “শহীদ নূর হোসেন আমাদের গণতন্ত্রের মুক্তির প্রতীক। তিনি জানতেন, জীবন দিতে হবে—তবুও রাস্তায় নেমেছিলেন। তাই ১০ নভেম্বর আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার দিন।”
সোমবার (১০ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে শহীদ নূর হোসেন স্মরণে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত আলোচনা সভা ও যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “আজ দেশে ধনীরা ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা লোন নিয়ে পাচার করে, অথচ গরিবরা সেই সুযোগ পায় না। আমি বলব, লোন গরিবকেই দিতে হবে। দেশের মানুষ এখন কষ্টে, অথচ এমন হওয়ার কথা ছিল না।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা এমন একটি দেশ চাই, যেখানে মানুষ কষ্টের কথা বলতে পারবে, মৌলিক চাহিদা পূরণ হবে।”
তিনি আহ্বান জানিয়েছেন—জনগণ যেন কোনো প্রতীকের প্রতি নয়, বরং যাকে বিশ্বাস করেন সেই দলকেই ভোট দেন।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি অভিযোগ করেন, “দেশের যে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তার মূল কারণ এই সরকার। আমরা একসময় বিএনপির সঙ্গে ছিলাম, কিন্তু তাদের সব কিছুই সমর্থন করি না। সত্যকে মেনে নিতে হবে। সব দলেরই আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান করতে হবে।”
মাহমুদুর রহমান মান্না জানান, নাগরিক ঐক্য এখন পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে কোনো আসন ভাগাভাগি করেনি। দলের পক্ষ থেকে ১৫২ জনের মনোনয়ন তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। আজকের অনুষ্ঠানে যে দুজন যোগ দিয়েছেন, তারাও সেই তালিকায় আছেন।
অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যে যোগ দেন জাতীয় পার্টির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আব্দুস সালাম এবং ব্যারিস্টার সোহরাব হোসেন।
আব্দুস সালাম বলেন, “স্বৈরাচার গেছে, কিন্তু গণতন্ত্র মুক্ত হয়নি। ৩৮ বছর আগে নূর হোসেন গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন, অথচ আমরা এখনো স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারি না। তাই লড়াই শেষ হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “আমি জাতীয় পার্টিতে ১৫ বছর থেকেও মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছি। তাই পদত্যাগ করেছি। এবার নাগরিক ঐক্য থেকে প্রার্থী হতে চাই, প্রয়োজনে স্বতন্ত্রভাবেও নির্বাচন করব।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, প্রেসিডিয়াম সদস্য দেলোয়ার হোসেন রাজা, সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ারসহ দলের শীর্ষ নেতারা।
