নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে অবিস্মরণীয় নাম শহীদ জেহাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩:২৮, ৯ অক্টোবর ২০২৫
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদ ৯০’র স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম। রক্তমাখা সেই আন্দোলনই বহুদলীয় গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার ভিত্তি গড়ে দেয়।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) শহীদ জেহাদ দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন,“দিবসটি উপলক্ষে আমি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অকুতোভয় সৈনিক শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি।”
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, নব্বইয়ের গণআন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে গিয়ে জেহাদ পুলিশের বুলেটে শহীদ হন। তাঁর আত্মত্যাগের স্রোতেই সেদিন সংঘটিত হয় গণঅভ্যুত্থান, পতন ঘটে স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের।
তারেক রহমান বলেন,“স্বৈরশাসক এরশাদ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলেন। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর দৃঢ় প্রত্যয় নিয়েই জেহাদ নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। আমরা যদি তাঁর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে না পারি, তবে তাঁর আত্মা কষ্ট পাবে।”
তিনি আরও বলেন,“গণতন্ত্রের ধারা বহমান রাখতে হলে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে। গণতন্ত্র মানে শুধু নির্বাচন নয়, গণতন্ত্র মানে মানুষের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা।”
তারেক রহমানের মতে, শহীদ জেহাদের আত্মত্যাগ শুধু ইতিহাস নয়—এটি প্রেরণা ও দায়বদ্ধতার প্রতীক, যা দেশি-বিদেশি অপশক্তির চক্রান্ত প্রতিহত করে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার অনুপ্রেরণা জোগায়।
তিনি বিএনপি নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে আহ্বান জানান—“জেহাদের রক্তে সিঞ্চিত গণতন্ত্রকে রক্ষা ও পুনরুদ্ধারে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
