আমাদের কোন যুগে তারা নিয়ে যেতে চান?

আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে আমি যথেষ্ট সন্দিহান। কয়েক দিন আগে একটি রাজনৈতিক দলের নেতারা যখন নির্বাচন কমিশনে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে দেখা করেছেন, সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের যেই বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখলাম তাতে মনে হলো যেন তিনি তার দলের নেতাদের অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন।

প্রশাসন থেকে শুরু করে সব কিছুই পরিকল্পিতভাবে সাজানো গোছানো হচ্ছে। আর হচ্ছে বলেই একটি দলের লোকজন এত কনফিডেন্ট। তারা দাবি করতে পারেন যে নির্বাচনের সময় প্রশাসনকে তাদের অধীনে নিয়ে আসতে হবে। এইটা সফল হলে বাংলাদেশের এমন বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে যেখান থেকে দেশকে ফিরিয়ে আনতে অনেক রক্ত ঝরতে হবে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভিকটিম হবে নারীরা, লঘু সম্প্রদায়ের লোকেরা যার মধ্যে প্রগতিশীল লোকজনও পড়বে।

ইতিমধ্যেই সাংস্কৃতিক জগতের একটি বিশাল অংশ এই দেশ ছেড়ে চলে গেছে। সাংস্কৃতিক ও প্রগতিশীল মানুষদের এই ড্রেইন বেশ অনেক বছর ধরেই চলছে। এর ফলে দেশে এখন সাংস্কৃতিক খরা চলছে, প্রকৃত বুদ্ধিজীবীদের খরা চলছে। পচন ধরার একদম মোক্ষম পরিবেশ। দেখতে পাচ্ছেন না একটি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব দিনরাত তার ঘুম হারাম করে ফেলছেন নারীদের অশালীন ড্রেস নিয়ে, নারীদের বাহিরে চাকরি ও ঘরের বাইরে যাওয়া নিয়ে। আমাদের কোন যুগে তারা নিয়ে যেতে চায়?

লেখক: শিক্ষক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

* মতামত লেখকের নিজস্ব