সংবিধান পরিবর্তনের অধিকার জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতেই থাকা উচিত
প্রকাশ: ১৮:৩৫, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
আনিস আলমগীর
সংবিধান সংস্কারের চারটি প্রশ্ন একত্রে বেঁধে গণভোটে তোলা হয়েছে—এটা স্বাভাবিক সিদ্ধান্ত গ্রহণকে জটিল করে দিয়েছে। প্রতিটি প্রশ্নের আলাদা গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও ভোটারকে একটি মাত্র ঘরে ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ টিক দিতে বলা হচ্ছে। এতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত হয় এবং বিবেচনাশীল ভোটারদের জন্য বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
আমি বিশ্বাস করি, সংবিধান পরিবর্তনের অধিকার প্রকৃত অর্থে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতেই থাকা উচিত। আগামী সংসদে যারা নির্বাচিত হবেন, তারাই মানুষের পক্ষ থেকে বৈধভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ম্যান্ডেট পাবেন। সেই তুলনায় অনির্বাচিত ব্যক্তিদের সুপারিশের ভিত্তিতে তৈরি প্রস্তাবে অগত্যা ‘হ্যাঁ’ বলার কোনো যুক্তি দেখি না। তাই আমি ‘না’ ভোট দেব, যাতে বিষয়টি সংসদে খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে।
দুঃখজনকভাবে, যুক্তি দিয়ে ‘না’ ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করলেও একশ্রেণির টোকাই লেগে যাচ্ছে—বুলিং, ব্যক্তিগত আক্রমণ, রাজনৈতিক ট্যাগ দেওয়ার কাজে। গণতান্ত্রিক মতের বিরুদ্ধে এ ধরনের আচরণ শুধু অসহিষ্ণুতাই নয়, অপরিপক্ব রাজনৈতিক সংস্কৃতিরও প্রমাণ। সবাই যদি হ্যাঁ ভোট দিতে বাধ্য থাকবে তাহলে আর গণভোটে দেওয়ার কি দরকার!
যে সমাজ ভিন্নমতকে সম্মান করতে শেখে, সেই সমাজই ন্যায় ও গণতন্ত্রে এগিয়ে যায়।
লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক
(লেখাটি আনিস আলমগীরের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া হয়েছে।)
* মতামত লেখকের নিজস্ব
