রবিবার মরদেহ উত্তোলন
জুলাই আন্দোলনের অজ্ঞাত ১১৪ শহীদের পরিচয় শনাক্তে সিআইডির উদ্যোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০:১৫, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) বাংলাদেশ। গ্রাফিক্স : সমাজকাল
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অজ্ঞাতনামা হিসেবে দাফন করা ১১৪ শহীদের পরিচয় শনাক্ত করতে তাদের মরদেহ উত্তোলন করা হবে।
রবিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে মরদেহগুলো তুলে ডিএনএ পরীক্ষা ও ফরেনসিক বিশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করবে সিআইডি। সংস্থাটির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সকাল থেকেই কবরস্থানে সিআইডির ফরেনসিক টিম কাজ শুরু করবে। মরদেহ উত্তোলনের পর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হবে এবং ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শেষে শহীদদের মরদেহ যথাযথ সম্মান রক্ষা করে পুনরায় দাফন করা হবে। পুরো প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে থাকবে একাধিক বিশেষায়িত দল।
মরদেহ উত্তোলন শুরুর আগে রায়েরবাজার স্মৃতিসৌধ–সংলগ্ন কবরস্থানে ব্রিফিং করবেন সিআইডির প্রধান মো. ছিবগাত উল্লাহ। সেখানে উপস্থিত থাকবেন আন্তর্জাতিক ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ লুয়িস ফনডিব্রাইডার, ফরেনসিক অ্যানথ্রোপোলজিস্ট ও ফরেনসিক কনসালট্যান্টসহ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। শনাক্তকরণ কার্যক্রম যাতে দ্রুত এবং বৈজ্ঞানিকভাবে সম্পন্ন হয়, সে লক্ষ্যে পুরো এলাকা কঠোর নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে।
কবরস্থান–সংলগ্ন অংশে ইতোমধ্যে তাবু টানিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে শহীদদের দাফনস্থল ঘিরে মার্বেল পাথর ও টাইলস বসিয়ে নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে, যাতে উত্তোলন ও পুনরায় দাফনের কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা যায়।
এর আগে গত ৪ আগস্ট ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব মরদেহ উত্তোলনের অনুমতি দেন। মামলার তদন্তে অগ্রগতি আনতেই মৃতদেহ উত্তোলনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে আবেদন করেছিলেন মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক মাহিদুল ইসলাম।
জুলাই আন্দোলনে প্রাণ হারানো অজ্ঞাতনামা শহীদদের পরিচয় নিশ্চিত করতে এই ডিএনএ পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
শনাক্তকরণের পর মরদেহ হস্তান্তর বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
